প্রধান উপদেষ্টার প্রেসসচিব শফিকুল আলম বলেছেন, ‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান দল থেকে ফের প্রার্থী হওয়া ডোনাল্ড ট্রাম্প বাংলাদেশের ঘটনাবলি সম্পর্কে কী ভাবছেন তা স্পষ্টতই গুরুত্বপূর্ণ।’ তবে তিনি জোর দিয়ে বলেন, ‘সরকারে তাদের কাজ সত্য বলা।’
তিনি বলেন, ‘তিনি (ট্রাম্প) শিগগিরই মুক্ত বিশ্বের নেতা হতে পারেন। কিন্তু আমাদের কাজ হচ্ছে সবচেয়ে স্বচ্ছ ও বাধ্যতামূলক উপায়ে সত্য বলা।
’
শফিকুল আলম বলেন, ‘শুরু থেকেই প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের কৌশল ছিল সব বিদেশি সাংবাদিক, গবেষক ও বিশেষজ্ঞকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানানো। তারা বাংলাদেশকে নিজেদের মতো করে আবিষ্কার করুক, কারণ আমরা আমাদের সমাজ, আমাদের জনগণ, আমাদের দেশ সম্পর্কে আত্মবিশ্বাসী।’
তিনি নেত্র নিউজকে বাংলাদেশের সবচেয়ে সম্মানিত অনুসন্ধানী সংবাদমাধ্যম হিসেবে উল্লেখ করেন, যা সাংবাদিকতার একটি ‘চমৎকার অংশ’ করেছে।
শফিকুল আলম তার ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে বলেন, ‘এতে সংখ্যালঘু গোষ্ঠী বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের ব্যানারে প্রচারিত কিছু মিথ্যাচারকে ভেঙে দিয়েছে।
’
বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) ট্রাম্প হিন্দু, খ্রিস্টান ও অন্য সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে ‘বর্বরোচিত সহিংসতার’ তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেন, ‘বাংলাদেশে উন্মত্ত জনতার দ্বারা আক্রান্ত ও লুটপাটের শিকার হচ্ছে, যা এখনো পুরোপুরি বিশৃঙ্খলার মধ্যে রয়েছে।’
শফিকুল আলম বলেন, ‘তারা জানেন যে এই গোষ্ঠীর দাবি বিপ্লবের সবচেয়ে মিথ্যা আখ্যান তৈরিতে বড় ভূমিকা পালন করেছে, বিশেষ করে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে লক্ষ্য করে সহিংসতার বিষয়ে।’
প্রেসসচিব বলেন, ‘আমরা অস্বীকার করছি না যে কিছু ধর্মীয় উদ্দেশ্যপ্রণোদিত সহিংসতা ঘটেনি। কিন্তু সেগুলো ছিল বিচ্ছিন্ন ঘটনা, তার পরও অতিরঞ্জিত।
তিনি বলেন, ‘ব্যক্তি ও মানুষ হিসেবে তাদের সম্মান করতে হবে। ক্ষণিকের মধ্যে সেই অনুপ্রাণিত গোষ্ঠীগুলো জয়ী হতে পারে। তবে শিগগিরই তারা বুঝতে পারবে যে তাদের আখ্যানের কোনো ভিত্তি নেই। নিউ ইয়র্কের গণপরিবহন ও ভ্যান নিয়ে যতই সোশ্যাল মিডিয়ায় বুস্টিং করা বা ব্যানার থাকুক না কেন, তা তাদের কোনো কাজে লাগবে না।
’
ধর্ম নির্বিশেষে যেখানেই থাকুক না কেন সংখ্যালঘুদের রক্ষার গুরুত্ব স্বীকার করায় ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ধন্যবাদ জানান যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত হিসেবে সদ্য নিয়োগ পাওয়া মুশফিকুল ফজল আনসারী।
ট্রাম্পের এক্স হ্যান্ডেলে দেওয়া মন্তব্যের জবাবে তিনি বলেছেন, ‘বাস্তব পরিস্থিতি বোঝার জন্য ফ্যাক্ট চেকিং অপরিহার্য।’
আনসারী সুইডেনভিত্তিক সংবাদ সংস্থা নেত্র নিউজের একটি ‘ফ্যাক্ট চেকিং’ প্রতিবেদনও শেয়ার করেছেন, যা বাংলাদেশ সম্পর্কে কিছু স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠীর প্রচারিত বিষয়ে আলোকপাত করে।
সুূুত্রঃ কালের কণ্ঠে
প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও জনপ্রিয় সাইট থেকে হুবহু কপি করা। তাই দায়ভার মুল পাবলিশারের। এরপরও কোন অভিযোগ বা ভিন্নমত থাকলে আমাদেরকে জানান আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব সমাধান করে নিতে। |