
ব্রিটিশ এমপি টিউলিপ সিদ্দিকি ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার বোন শেখ রেহানাসহ অন্যান্য আসামির বিরুদ্ধে প্লট বরাদ্দ দুর্নীতির মামলায় রায় আগামী ১ ডিসেম্বর দেওয়া হবে। সাবেক সিটি মিনিস্টার টিউলিপকে ঘিরে গঠিত এই মামলাকে যুক্তরাজ্যের পাঁচজন শীর্ষস্থানীয় আইনজীবী ‘সাজানো এবং অন্যায্য’ বলে মন্তব্য করেছেন।
যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতকে লেখা এক চিঠিতে তারা বলেছেন, সাবেক প্রতিমন্ত্রী টিউলিপ সিদ্দিক এই মামলা লড়ার ‘ন্যূনতম অধিকারও পাননি’। বাংলাদেশে চলমান মামলাকে ‘পরিকল্পিত’ হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে চিঠিতে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ান এ নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
ব্রিটিশ আইনজীবীদের এই দলে চেরি ব্লেয়ার কে সি, ফিলিপ স্যান্ডস কে সি ও জিওফ্রে রবার্টসন কে সি রয়েছেন। ব্রিটিশ গণমাধ্যমটির প্রতিবেদনে বলা হয়, এই আইনজীবীদের দাবি—টিউলিপ তার মামলায় স্বাভাবিক অধিকার পাননি। অভিযোগ সম্পর্কে পূর্বে জানানো হয়নি এবং তার আইনি প্রতিনিধিত্বের সুযোগও সীমিত করা হয়েছে।
তাদের অভিযোগ, টিউলিপ যে আইনজীবীকে নিয়োগ করেছিলেন তাকে গৃহবন্দি করা হয়েছে। তার মেয়েকেও হুমকি দেওয়া হয়েছে। গত আগস্টে শেখ হাসিনা ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর টিউলিপ, তার মা, ভাই, বোনসহ একাধিক ব্যক্তির বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলা হয়। অভিযোগ রয়েছে, হাসিনার প্রভাব ব্যবহার করে পূর্বাচলে তার মায়ের জন্য প্লট নিয়েছিলেন টিউলিপ, যদিও তিনি এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
টিউলিপ যুক্তরাজ্যের নাগরিক ও নির্বাচিত এমপি হওয়ায় আইনজীবীরা বলেন, শক্ত প্রমাণ উপস্থাপন ছাড়া তাকে বাংলাদেশের হাতে প্রত্যার্পণ করা নৈতিকভাবে প্রশ্নবিদ্ধ। তাদের ভাষ্য, তিনি পলাতক নন এবং স্বাভাবিক আইনি লড়াইয়ের অধিকার তার প্রাপ্য।
দুর্নীতির অভিযোগ ওঠার পর যুক্তরাজ্যে ব্যাপক সমালোচনার মুখে জানুয়ারিতে মন্ত্রিত্ব ছাড়েন টিউলিপ। পদ ছাড়ার সময় তিনি জানান, সরকারের কাজে মনোযোগ ধরে রাখতে চান বলেই সরে দাঁড়িয়েছেন।
সূত্র : যুগান্তর পত্রিকা













































