
আশা ছেড়ে দিয়েছিল পরিবারের সদস্যরা, এক রকম মৃত ভেবে দাফন-কাফনের প্রস্তুতির কথাও বলছিল স্বজনদের কেউ কেউ। তবে সেই সময়েও হাল ছাড়েনি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মীরা। শুরুতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, এরপর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল (সিএমএইচ), এমনকি সর্বশেষ চেষ্টা হিসেবে উন্নত চিকিৎসায় সিঙ্গাপুরে পাঠানো হয় জুলাই গণঅভ্যুত্থানে গুলিবিদ্ধ শিশু বাসিত খান মুসাকে।
সেই ছোট্ট মুসা অবশেষে চোখ খুলেছে, নাড়তে শুরু করেছে হাত-পাও। শিশু মুসার অলৌকিকভাবে ফিরে আসার খুশিতে তার সাথে দেখা করতে এসেছেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। এসময় জুলাই বিপ্লবের গাজী ছয় বছরের মুসাকে সাথে নিয়ে তোলা কয়েকটি ছবিসহ তিনি নিজের ফেসবুক পেজে পোস্ট করেন। তা হুবহু তুলে ধরা হলো:
জুলাই বিপ্লবের “গাজী” আমাদের বীর সেনানী ৬ বছরের মুসা। ১৯ জুলাই ২০২৪ রামপুরায় নিজ বাসা থেকে বাবা ও দাদীর সাথে আইসক্রিম কিনতে গিয়ে গুলিবিদ্ধ হয় সে। ঘাতক বুলেট তার মাথার একদিক দিয়ে ঢুকে অন্যদিকে বের হয়ে পাশে থাকা পেটে লাগে। দাদী শহীদ হয়ে যান কিন্ত অলৌকিকভাবে বেঁচে যায় মুসা।
আমাদের জুলাই, এরকম অজস্র বীরত্বগাঁথা ও কোরবানির বিনিময়ে অর্জিত। এই ত্যাগ ও কোরবানি বৃথা যেতে দেবেনা এ জাতি, ইনশাআল্লাহ ।










































