
বরগুনা জেলার বামনা উপজেলার তিনবারের সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও বিএনপি নেতা সৈয়দ মানজুরুর রব মুর্তাজা আহসান মামুন আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীতে যোগদান করেছেন।
রোববার (২ নভেম্বর) সন্ধ্যায় বামনা উপজেলা জামায়াতে ইসলামী আয়োজিত জনসভা শেষে তিনি বরগুনা জেলা জামায়াতের আমির মুহিব্বুল্লাহ হারুনের হাতে ফুলের তোড়া তুলে দিয়ে সংগঠনের প্রাথমিক সদস্য ফরমে স্বাক্ষর করেন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বরগুনা–২ আসনের জামায়াত মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী ডাক্তার সুলতান আহমদ, জেলা জামায়াতের সাবেক আমির আবু জাফর মো. সালেহ, জেলা জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি মো. শামীম আহসান এবং গাজীপুর জেলা জামায়াতে ইসলামীর শূরা ও কর্মপরিষদ সদস্য, বামনা উপজেলা চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী মো. আব্দুল জলিল আকন্দ প্রমুখ।
নিজের ফেসবুক আইডিতে দেওয়া এক পোস্টে দলীয় রাজনীতি ও ব্যক্তিগত রাজনৈতিক পথচলার অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন মামুন। সেখানে তিনি লেখেন- দলীয় রাজনীতিকে আমি কখনো ক্ষমতার মাধ্যম হিসেবে বিবেচনা করিনি। আমার কাছে রাজনীতি হলো সাধারণ মানুষের সঙ্গে সম্পর্কের গভীরতা সৃষ্টির এক আন্তরিক প্রচেষ্টা।
মামুন বলেন, ১৯৮৭ সালে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপ-পরিচালকের পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে বামনায় ফিরে এসে প্রথমে জাতীয় পার্টির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হই। পরে ২০০২ সালে তৎকালীন সংসদ সদস্য নূরুল ইসলাম মনিরের আহ্বানে বিএনপিতে যোগ দেই। দীর্ঘদিন বরগুনা জেলা বিএনপির সহ-সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছি।
তিনি বলেন, ২০১৪ সালের উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থিতা নিয়ে বিরোধের জেরে তাকে বিএনপি থেকে বহিষ্কারের ঘোষণা দেওয়া হয়। তবে কোনো আনুষ্ঠানিক আদেশপত্র বা বিজ্ঞপ্তি তিনি আজ পর্যন্ত পাননি। পরবর্তীতে একাধিকবার পুনর্বহালের আবেদন করলেও তা কার্যকর হয়নি।
বিএনপি থেকে বহিষ্কারের পর আমি দীর্ঘ সময় নির্দলীয় অবস্থায় থেকে এলাকার শিক্ষা, সমাজসেবা ও উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডে যুক্ত ছিলাম। সাম্প্রতিক সময়ে দলের অভ্যন্তরীণ সংকট ও নৈতিক অধঃপতনে হতাশ হয়ে আমি বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীতে যোগদানের সিদ্ধান্ত নেই।
নিজের সিদ্ধান্তের ব্যাখ্যায় মামুন বলেন, নিজ স্বার্থে নয়, কোনো পদ-পদবির আকর্ষণে নয়, মানুষের কল্যাণে রাজনীতি করি। দলের বর্তমান পরিস্থিতিতে নতুন করে বিএনপিতে সম্পৃক্ত হওয়ার যৌক্তিকতা খুঁজে পাইনি।
জামায়াতে যোগদানের সময় জেলা আমির মুহিব্বুল্লাহ হারুন তাকে ফুল দিয়ে বরণ করে নেন।
এ সময় বামনা উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক দিনার তালুকদার, বামনা সদর আর রশীদ ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা মো. ইউনুসসহ অর্ধশতাধিক বিভিন্ন মতাদর্শের নেতা জামায়াতে যোগ দেন।












































