প্রচ্ছদ জাতীয় ছাত্রলীগই ভালো ছিল ধরে ধরে পি’টাইতো

ছাত্রলীগই ভালো ছিল ধরে ধরে পি’টাইতো

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) নওয়াব ফয়জুন্নেসা চৌধুরাণী হলের লাইব্রেরি থেকে নিয়মিত বই চুরির বিষয়ে সংবাদ প্রকাশকে কেন্দ্র করে সাংবাদিককে নিয়ে করা প্রাধ্যক্ষের মন্তব্যে বিতর্ক তৈরি হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের একমাত্র ছাত্রী হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক আঞ্জুমান আরা ক্ষোভ প্রকাশ করে সাংবাদিককে হুমকি দিয়ে বলেন, ‘আগে তো ছাত্রলীগ ছিল, তারাই ভালো ছিল, ধরে ধরে পিটাইতো— ওটাই ঠিক ছিল।’

সংবাদ প্রকাশকারী সাংবাদিককে উদ্দেশ করে প্রাধ্যক্ষ বলেন, ‘এত তাড়াহুড়ো কীসের? সে দৌড়াইয়া নিউজ করে দিছে। হলে কিছু মেয়ে আছে, তারা সবকিছু এখনই চায়। তারা কী হয়ে গেছে?’

প্রাধ্যক্ষের ভাষ্য অনুযায়ী, সাংবাদিককে হলের শৃঙ্খলা কমিটির সভায় ডেকে জবাবদিহি করতে হবে। তিনি বলেন, ‘ও আমার হলের শৃঙ্খলা কমিটিতে আসবে। নিউজের জন্য জবাবদিহি করবে। ওই আবার নিউজ করবে? এত সময় নাই আমার সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার।’

রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট নিয়েও মন্তব্য করেন আঞ্জুমান আরা। তিনি বলেন, ‘সাদা দলের লোক নাই, তাই প্রভোস্ট হয়েছি। এত ঠেকা নাই আমার। নির্বাচন হলে তখন দলের অনেক লোক হবে। কেউ দায়িত্ব নিতে চাইলে তখনই দায়িত্ব ছেড়ে দিয়ে চলে যাব।’

এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে লাইব্রেরি থেকে বই চুরির ঘটনা নিয়ে একটি জাতীয় দৈনিকে সংবাদ প্রকাশিত হয়। সংবাদ প্রকাশের পর ক্ষুব্ধ হয়ে প্রাধ্যক্ষ আঞ্জুমান আরা ওই সংবাদকর্মী ফাতেমা আলীকে ‘হলুদ সাংবাদিক’ আখ্যা দেন এবং ফেসবুক গ্রুপে তার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান। এমনকি রাত ১২টার দিকে হোয়াটসঅ্যাপে মেসেজ পাঠিয়ে তাকে শৃঙ্খলা কমিটির সভায় হাজির হওয়ার নোটিশ দেন।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক তাজাম্মুল হক বলেন, ‘আমি বিষয়টি আরেক জন সাংবাদিকের কাছে শুনেছি। উপাচার্যকে জানিয়েছি। পরে বিস্তারিত জানাতে পারব, একটু সময় দিন।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল করিম বলেন, ‘আমি বই চুরির বিষয়ে অবগত আছি। তবে সাংবাদিকের সঙ্গে এরূপ আচরণের বিষয়ে এখনো কিছু জানি না। বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করছি। যদি সত্যিই এমন ঘটনা ঘটে থাকে, তাহলে আমরা প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেব।’