
রাজধানীর ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজের সামনে গুলিতে নিহত তারিক সাইফ মামুন ছিলেন চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী হত্যা মামলার আসামি। গত বছর তিনি ওই মামলায় খালাস পান।
আজ সোমবার (১০ নভেম্বর) সকালে ঘটনার পর জানা যায় নিহতের পরিচয়।
পুলিশ জানায়, সকাল সাড়ে ৯টার দিকে কলেজের সামনে দুইজন দুর্বৃত্ত মোটরসাইকেলযোগে এসে মামুনকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। পরে আশপাশের লোকজন তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
নিহতের শ্যালক জানান, তারিক সাইফ মামুন ধানমন্ডি থানা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ছিলেন। তিনি সোহেল চৌধুরী হত্যা মামলার অন্যতম আসামি ছিলেন এবং গত বছর আদালত থেকে খালাস পেয়েছেন।
নিহতের স্ত্রী রিপা জানান, সোমবার সকালে একটি হত্যা মামলার হাজিরা দিতে কোর্টে গিয়েছিলেন মামুন। সেখান থেকে ফেরার পথে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) লালবাগ বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মল্লিক আহসান উদ্দিন সামী বলেন, নিহত তারিক সাইফ মামুন একজন শীর্ষ সন্ত্রাসী ছিলেন। ঘটনার পর আশপাশের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়েছে। হামলাকারীদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে।
১৯৯৮ সালের ১৭ ডিসেম্বর রাজধানীর বনানীর ট্রাম্প ক্লাবের সামনে সোহেল চৌধুরীকে গুলি করে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা। গোয়েন্দা বিভাগের তদন্তে জানা যায়, ব্যবসায়ী আজিজ মোহাম্মদ সহ আরো কজন বিরোধের জের ধরে ভাড়াটে খুনি দিয়ে হত্যা করেন চিত্রনায়ক সোহেলকে। সোহেল চৌধুরী ছিলেন প্রয়াত চিত্রনায়িকা পারভীন সুলতানা দিতির স্বামী।











































