প্রচ্ছদ আর্ন্তজাতিক দুই উপায়ে হাসিনাকে দেশে ফেরানো যেতে পারে

দুই উপায়ে হাসিনাকে দেশে ফেরানো যেতে পারে

গত বছর জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। এ মামলার আরেক আসামি সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকেও মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে তারা দুইজন প্রতিবেশী দেশ ভারতে পলাতক রয়েছেন।

বাংলাদেশ সরকার দুইভাবে এসব আসামিদের দেশে ফেরত এনে সাজা কার্যকর করতে পারে বলে জানিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম।

সোমবার দুপুরে আদালত চত্বরে সাংবাদিকদের সঙ্গে রায়ের প্রতিক্রিয়ায় তিনি এ ব্যাপারে কথা বলেন।

পলাতক দুই আসামিকে দেশে ফেরাতে রাষ্ট্র দুই ধরনের পদক্ষেপ নিতে পারে জানিয়ে চিফ প্রসিকিউটর বলেন, ভারতের সঙ্গে সম্পাদিত ২০১৩ সালের যে অপরাধীর বহিঃসমর্পণ চুক্তি অর্থাৎ এক্সট্রাডিশন ট্রিটি। চুক্তি অনুযায়ী যেহেতু মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে তারা সাজাপ্রাপ্ত হয়েছেন, তাদের বাংলাদেশ ভারত সরকারের কাছে ফেরত চাইবে। ভারত আইনের শাসন ও ন্যায়বিচারের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হলে আসামিদের ফেরত দেবে। অন্য প্রক্রিয়াটি হচ্ছে ইন্টারপোলের মাধ্যমে। যেহেতু বাংলাদেশের ট্রাইব্যুনাল থেকে উপযুক্ত আদালতের মাধ্যমে তাদের মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়েছে। তাদের এই দুই উপায়ে দেশে ফেরত এনে সাজা কার্যকর করা যেতে পারে।

এ ব্যাপারে বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্র ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্মিলিতভাবে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন চিফ প্রসিকিউটর।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ সব আন্তর্জাতিক নর্মস, আন্তর্জাতিক স্ট্যান্ডার্ড মেইনটেইন করে ক্রাইমস এগেইনস্ট হিউম্যানিটির মতো কমপ্লেক্স অপরাধের বিচার করতে সক্ষম এবং বাংলাদেশ সাফল্যের সঙ্গে সেটা করেছে।

তিনি বলেন, পৃথিবীর যেকোনো আদালতে এই সাক্ষ্যপ্রমাণ উপস্থাপন করা হলে আজকে যেসব আসামিকে শাস্তি প্রদান করা হয়েছে, তারা প্রত্যেকেই একই শাস্তি পাবে।

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে রাজসাক্ষী সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুনকে দেওয়া হয়েছে ৫ বছরের কারাদণ্ড। এছাড়াও রায়ে শেখ হাসিনা এবং আসাদুজ্জামান খান কামালের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে জুলাই শহীদদের দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।