বাংলাদেশ: নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলার কুড়াইল গ্রামে প্রেমিকের বাড়ি থেকে কিশোরী প্রেমিকাকে উদ্ধার করতে গিয়ে গ্রামবাসীর সাথে দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়েন সাধারণ পোশাক পড়া পুলিশ সদস্য। এ ঘটনায় পুলিশের উপর হামলা চালানোর অভিযোগ এনে গ্রামবাসীর বিরুদ্ধে করা হয় মামলা। এরপর থেকে গ্রেপ্তার আতঙ্কে পুরুষশূন্য পুরো গ্রাম। গ্রামের নারী সদস্যরাও রয়েছেন গ্রেপ্তার আতঙ্কসহ নানা সমস্যায়। যদিও পুলিশের দাবী গ্রেপ্তারের নামে কাউকে হয়রানি করা হবে না।
জানা গেছে, গত ৪ এপ্রিল নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলার কুড়াইল গ্রামের ১৪ বছরের এক কিশোরী প্রেমের টানে ছুটে আসে একই গ্রামের প্রেমিক হিরণ চন্দ্রের বাড়িতে। এ ঘটনায় কিশোরীর স্বজনরা পুলিশে খবর দিলে কিশোরীকে উদ্ধার করতে গিয়ে ব্যর্থ হন পুলিশ। পরে রাত সাড়ে ৯টায় টি-সার্ট পড়া ৪ পুলিশ সদস্য ওই কিশোরীকে উদ্ধারে এসে তর্ক ও ধাক্কাধাক্কিতে জড়িয়ে পড়ে ওই বাড়ির লোকসহ গ্রামবাসীর সাথে।
এ ঘটনায় পুলিশের উপর হামলা চালানোর অভিযোগ এনে ২৩ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ১৫০ জনের নামে মামলা দেন পুলিশ। ওই মামলায় এখন পর্যন্ত ৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এরপর থেকে গ্রেপ্তার আতঙ্কে পুরুষশূন্য পুরো গ্রাম। এলাকায় আতঙ্কে থাকা নারী সদস্যরা বলেন, আমরা খুব আতঙ্কে আছি। এই গ্রামে কোনো পুরুষ মানুষ নেই, সবাই পুলিশের ভয়ে পালিয়েছে। পুলিশ আসছিল সিভিল পোশাকে, ওই বাড়ির লোকজনই চিনতে না পেরে কথা কাটাকটির একপর্যায়ে তাদের মধ্যে ধাক্কাধাক্কি হয়। পরে পুরো গ্রামবাসীর নামেই মামলা দেয়। আমাদের কি দোষ, আমরা তো প্রতিবেশী। পুরুষদের না পাওয়ায় আমাদের হুমকি দিচ্ছে পুলিশ।
পুলিশ সুপার মুহাম্মদ রাশিদুল হক মুঠোফোনে বলেন, নাবালিকা সেই কিশোরীকে উদ্ধারে যারা বাধা দিয়েছে তাদের টার্গেট করেই মামলা দেওয়া হয়েছে। আমি সিনিয়রদেরও বলেছি, গ্রেপ্তারের নামে কাউকে হয়রানি করা হবে না। প্রকৃত দোষীদের আইনের আওতায় আনা হবে। এ নিয়ে সবার ভয়ের কিছু নেই। কিশোরীকে উদ্ধারে পুলিশ সাধারণ পোশাকে আসার কারনে গ্রামবাসীর সাথে বিরোধ সৃষ্ট হয়। এতে পুলিশ উল্টো মামলা করে গ্রামবাসীকে হয়রানী করছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।
প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও জনপ্রিয় সাইট থেকে হুবহু কপি করা। তাই দায়ভার মুল পাবলিশারের। এরপরও কোন অভিযোগ বা ভিন্নমত থাকলে আমাদেরকে জানান আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব সমাধান করে নিতে। |