
পাবনার সাঁথিয়া উপজেলায় এক গর্ভধারিণী মাকে মারধরের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ার পর ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত ছেলে ও পুত্রবধূসহ ৫ জনকে আটক করেছে যৌথবাহিনী। শনিবার (৩০ আগস্ট) সন্ধ্যা ৭টার দিকে উপজেলার হাপানিয়ায় রামচন্দ্রপুর গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে আটক করা হয় তাদের।
এদিকে এদিন রাতে এ ঘটনায় বৃদ্ধার মেয়ে আম্বিয়া খাতুন বাদী হয়ে সাঁথিয়া থানায় ছয়জনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করেছেন।
আটক হওয়া ব্যক্তিরা হলেন- ছেলে নজরুল ইসলাম( ৪০), পুত্রবধূ সোনালী খাতুন (৩৫), নজরুলের দুই শ্যালক মো. টিপু মিয়া (২৫) ও মো. মিনার হোসেন ( ৩০), শ্যালিকা মুর্শিদা খাতুন ( ২৮)।
ভাইরাল হওয়া ফেসবুক ভিডিও থেকে দেখা যায়, পুত্রবধূ সোনালী প্রথমে বৃদ্ধ শাশুড়ি কাঞ্চন খাতুনকে (৭৫) মাটিতে ফেলে মারপিট করছেন। দ্বিতীয় দফায় ছেলে নজরুল ইসলাম মাকে অনেকক্ষণ গলাটিপে ধরে। এক পর্যায়ে ছেলে মাকে তুলে মাটিতে আছাড় মেরে ফেলে দিয়ে লাথি মেরে হত্যার চেষ্টা করেন। বৃদ্ধা মা চিৎকার করে কান্না করলেও ভিডিওতে কাউকে এগিয়ে আসতে দেখা যায়নি। লোমহর্ষক এ ঘটনাটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে সাধারণ মানুষের মধ্যে সমালোচনার ঝড় উঠেছে। কমেন্টে অমানুষ দাবি করে তাদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি করা হয়।
সাঁথিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রিজু তামান্না জানান, ফেসবুকে ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়ার পর দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায় থানা পুলিশ। এ সময় স্থানীয়রা বাধা দিলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সেনাবাহিনীর একটি দল সেখানে উপস্থিত হয়। পরে সেনাবাহিনীর সহায়তায় অভিযুক্তদের আটক করা সম্ভব হয়।
সাঁথিয়া থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আনিসুর রহমান জানান, বৃদ্ধ মাকে মারপিটের ঘটনাটি সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হলে সমালোচনার ঝড় উঠে। এ অভিযোগে ছেলে ও পুত্রবধূসহ পাঁচজনকে আটক করা হয়েছে। আদালতের মাধ্যমে পাবনা কারাগারে পাঠানো হবে তাদের।












































