
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) নির্বাচনে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের আলোচনায় ছিলেন জুলাই গণঅভ্যুত্থানের অগ্রনায়ক আব্দুল্লাহ আল মামুন। এজিএস পদে মনোনয়ন ফরম তুলেও শেষ পর্যন্ত জায়গা হয়নি ছাত্রদলের ঘোষিত প্যানেলে। এতে ‘বঞ্চিত’ মামুন স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচনে লড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। বিষয়টি ঘিরে দলীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে।
মামুন বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের (২০২০-২১) শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী এবং শাখা ছাত্রদলের সক্রিয় কর্মী। গত বছরের জুলাই মাসে কোটা সংস্কার আন্দোলনে তিনি ছিলেন সম্মুখ সারিতে। মহাসড়ক অবরোধ থেকে শুরু করে ‘বাংলা ব্লকেড’—প্রতিটি কর্মসূচিতে তার সক্রিয় উপস্থিতি নজরে আসে। খালি গায়ে বুকে লেখা ‘ফ্রি কোটা অর ডাই’ এবং হাতে জাতীয় পতাকা—এমন একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়, যা শুধু দেশে নয় আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমেও প্রকাশিত হয়।
চাকসু নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর থেকেই এজিএস পদে প্রার্থী হওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন মামুন। কিন্তু গত বৃহস্পতিবার ঘোষিত ছাত্রদলের প্যানেলে তার নাম না থাকায় হতাশা প্রকাশ করেন অনেক নেতাকর্মী। পরে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দেন তিনি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন নেতা বলেন, ‘জুলাই আন্দোলনে মামুন অগ্রভাগে ছিল। আমরা ভেবেছিলাম, এজিএস পদে তাকে প্যানেল থেকে মনোনয়ন দেওয়া হবে। কিন্তু সে বাদ পড়ায় আমরা আশাহত।’
নিজ সিদ্ধান্তের বিষয়ে আব্দুল্লাহ আল মামুন সমকালকে বলেন, ‘আমি ছাত্রদলের কর্মী। জুলাই থেকে শেখ হাসিনার দুঃশাসনের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছি। ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানের ফসল আজকের এই নির্বাচন। আমি দলের পক্ষ থেকে এজিএস পদে মনোনয়ন চেয়েছিলাম, কিন্তু পাইনি। আফসোস নেই, তবে আমি স্বতন্ত্রভাবে লড়ব। শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ইতিবাচক সাড়া পাচ্ছি।’
এর আগে ছাত্রদলের ঘোষিত প্যানেলে সহ-সভাপতি (ভিপি) পদে দর্শন বিভাগের ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী সাজ্জাদ হোসেন হৃদয়, সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে স্পোর্টস সায়েন্স বিভাগের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মো. শাফায়াত হোসেন এবং সহ-সাধারণ সম্পাদক (এজিএস) পদে ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী আইয়ুবুর রহমান তৌফিকের নাম ঘোষণা করা হয়।
সূত্র: সমকাল