জাতীয়: অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, ‘আমরা ক্ষমা চাচ্ছি, কিন্তু ভারতে কোনো ইলিশ পাঠাতে পারব না।’
শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) ভারতীয় একটি সংবাদমাধ্যকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মৎস্য উপদেষ্টা বলেন, আমরা দেখেছি আমাদের দেশের মানুষই ইলিশ খেতে পারেন না। কারণ, সব ভারতে পাঠানো হয়। যেগুলো থাকে সেগুলো অনেক দামে খেতে হয়। আমরাও দুর্গোৎসব পালন করি। আমাদের জনগণও এটি উপভোগ (খেতে) করবে।
উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেন, এবারের দুর্গোৎসবে বাংলাদেশের হিন্দুধর্মাবলম্বীসহ অন্যান্য নাগরিকরা যেন ইলিশ খেতে পারেন সেটি নিশ্চিত করা হবে। ভারতের চেয়ে দেশের জনগণকেই প্রাধান্য দেওয়া হবে।
প্রতিবছর দুর্গাপূজার সময় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চার হাজার টন ইলিশ ভারতে পাঠাতেন। তার সেই উদ্যোগের সমালোচনা করে উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেন, ভারতে মাছ পাঠানোর কোনো প্রয়োজনীয়তা ছিল না। ভারতের সঙ্গে ভালো সম্পর্কের কথা বলে তার মাছ পাঠানো ঠিক হয়নি। তিনি বাংলাদেশের মানুষের প্রয়োজনীয়তাকে উপেক্ষা করেছেন।
মৎস্য উপদেষ্টা বলেন, ইলিশ নিয়ে ভারতের কোনো ইস্যু সৃষ্টি করার দরকার নেই। যদি তারা বাংলাদেশের সঙ্গে সুসম্পর্ক চায় তাহলে তাদের তিস্তার পানি বণ্টনের সমস্যার সমাধান করা উচিত।
এর আগে, গত ৩ সেপ্টেম্বর মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতের সাংবাদিকদের সংগঠন ফিশারিজ অ্যান্ড লাইভস্টক জার্নালিস্ট ফোরামের (এফএলজেএফ) সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়কালে ফরিদা আখতার বলেন, দুর্গাপূজা উপলক্ষে এবার বাংলাদেশ থেকে ভারতে কোনো ইলিশ মাছ যাবে না। এ ছাড়া আমরা কোনো মাংস আমদানি করতে চাচ্ছি না। এখন লাখ লাখ খামারি গবাদিপশু লালন-পালনের সঙ্গে জড়িত।
উপদেষ্টা বলেন, ‘দেশের মানুষের চাহিদা মিটিয়ে তারপর ইলিশ বিদেশে রফতানি করা হবে। দেশের মানুষ ইলিশ পাবে না, আর রফতানি হবে, সেটা হতে পারে না। ফলে এবার দুর্গাপূজায়ও ভারতে যাতে কোনো ইলিশ না যায়, তার জন্য আমি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে বলেছি।’
সূত্র : আরটিভি
প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও জনপ্রিয় সাইট থেকে হুবহু কপি করা। তাই দায়ভার মুল পাবলিশারের। এরপরও কোন অভিযোগ বা ভিন্নমত থাকলে আমাদেরকে জানান আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব সমাধান করে নিতে। |