
রক্তের ক্যান্সার যেমন লিউকেমিয়া, লিম্ফোমা বা মাল্টিপল মায়েলোমার ঝুঁকি কিছুটা রক্তের গ্রুপের সঙ্গেও সম্পর্কিত হতে পারে বলে কিছু গবেষণায় দেখা গেছে। তবে এখনো এ সম্পর্ক পুরোপুরি প্রমাণিত হয়নি। তবুও কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য নিচে দেওয়া হলো:
১. A রক্তের গ্রুপ:এই গ্রুপের মানুষের মধ্যে লিউকেমিয়া ও লিম্ফোমার মতো রক্তের ক্যান্সারের ঝুঁকি তুলনামূলকভাবে কিছুটা বেশি দেখা গেছে। ধারণা করা হয়, এ গ্রুপে কিছু নির্দিষ্ট অ্যান্টিজেন থাকার কারণে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতায় পরিবর্তন আসে।
২. AB রক্তের গ্রুপ:AB গ্রুপে রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা অনেকটাই জটিল। ফলে অটোইমিউন রোগসহ কিছু ক্যান্সার জনিত জটিলতা বেশি হতে পারে। তবে সরাসরি রক্তের ক্যান্সারের সঙ্গে এর সম্পর্ক এখনো পুরোপুরি নিশ্চিত নয়।
৩. O রক্তের গ্রুপ:এই গ্রুপের মানুষের মধ্যে বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে, রক্ত ও পাকস্থলীর ক্যান্সারের ঝুঁকি তুলনামূলকভাবে কম। প্রতিরোধ ক্ষমতাও কিছুটা ভালো কাজ করে।
৪. B রক্তের গ্রুপ:এই গ্রুপের মানুষের ক্ষেত্রে ঝুঁকি মাঝারি। তবে কিছু ক্ষেত্রে লিম্ফোমার কিছু ধরনে কিছুটা বেশি ঝুঁকি দেখা গেছে।
তবে মনে রাখতে হবে, ক্যান্সারের ঝুঁকি শুধু রক্তের গ্রুপের উপর নির্ভর করে না। আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ কারণ রয়েছে, যেমন:
* বংশগত জিন বা পারিবারিক ইতিহাস
* তেজস্ক্রিয়তা, রাসায়নিকের সংস্পর্শ
* কিছু ভাইরাস সংক্রমণ যেমন HTLV বা EBV
* ধূমপান, অনিয়মিত জীবনধারা বা খাদ্যাভ্যাস
যদি পরিবারের কারও রক্তের ক্যান্সারের ইতিহাস থাকে বা আপনার মধ্যে ক্লান্তি, হিমোগ্লোবিন স্বল্পতা, অজানা রক্তপাত, ওজন কমে যাওয়া, হাড়ে ব্যথা ইত্যাদি উপসর্গ দেখা দেয়, তাহলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া জরুরি।
প্রয়োজনে আমি এই বিষয় নিয়ে একটি বিস্তারিত, তথ্যভিত্তিক আর্টিকেল তৈরি করে দিতে পারি। বলুন চাই কি?