জাতীয়: এস আলমের মালিকানাধীন একটি বিলাসবহুল গাড়িতে চড়তে দেখা গেছে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদকে। মিতসুবিশির স্টেশন ওয়াগন ব্র্যান্ডের জিপে করে গত বুধবার (২৮ আগস্ট) তিনি কক্সবাজার থেকে চকরিয়া-পেকুয়ায় যান। বহর নিয়ে সালাউদ্দিনের যাত্রার কয়েকটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। এ সময় সালাউদ্দিনকে যে গাড়িতে দেখা গেছে, সেটির নম্বর হলো চট্ট মেট্রো ঘ-১১-১৫৩৩।
বাংলাদেশ সড়ক পরিববহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) চট্টগ্রাম কার্যালয় থেকে জানা যায়, গাড়িটি এস আলম পাওয়ার প্ল্যান্টের নামে নিবন্ধিত। ২০১০ সালে এটি নিবন্ধন করা হয়েছিল। বিআরটিএর সার্ভারে ঠিকানা হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে চট্টগ্রাম নগরের আছদগঞ্জ এস আলম ভবন।
১০ বছরের বেশি সময় পর নিজ এলাকায় গেছেন সালাউদ্দিন। তিনি বুধবার বেলা ১২টার দিকে কক্সবাজার বিমানবন্দরে নামেন। সেখান থেকে নেতাকর্মীদের বহর নিয়ে গাড়িযোগে তিনি চকরিয়ায় যান। এদিন চকরিয়ার শহীদ আবদুল হামিদ পৌর বাস টার্মিনালে বিএনপি আয়োজিত জনসভায় বক্তব্য দেন তিনি। সেখান থেকে তিনি গ্রামের বাড়ি পেকুয়ায় যান।
বিএনপি নেতা সালাউদ্দিনের দাবি তিনি না বিষয়টি না জেনেই গাড়িটিতে উঠেছেন। এ বিষয়ে তিনি বলেন, শত শত লোক এসেছে। কার গাড়িতে উঠেছি, জানি না। যে চালক গাড়ি চালিয়েছেন, তিনি সাত-আট বছর ধরে আমার পরিবারের গাড়ি চালিয়ে আসছেন।
সালাউদ্দিনের এস আলমের মালিকানাধীন গাড়িতে চড়ার বিষয়টি এমন সময় সামনে এলো যখন ঋণের নামে বিভিন্ন ব্যাংক থেকে শিল্পগ্রুপটির লুটপাট নিয়ে সারা দেশে আলোচনা-সমালোচনা চলছে। গত ২৯ আগস্ট এস আলম গ্রুপের কর্ণধার সাইফুল আলম মাসুদের পরিবারের ব্যবহৃত ১৪টি বিলাসবহুল গাড়ি সরিয়ে নিতে সহায়তার অভিযোগ উঠে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির শীর্ষ নেতাদের বিরুদ্ধে। এটি নিয়ে ভিডিওসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। দেশব্যাপী তীব্র সমালোচনার মুখে বিএনপি রোববার (১ সেপ্টেম্বর) চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা ইউনিট বিলুপ্ত ঘোষণা করে।
সূত্র : ঢাকা পোস্ট
প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও জনপ্রিয় সাইট থেকে হুবহু কপি করা। তাই দায়ভার মুল পাবলিশারের। এরপরও কোন অভিযোগ বা ভিন্নমত থাকলে আমাদেরকে জানান আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব সমাধান করে নিতে। |