
জাতীয় ক্রীড়া পরিষদে গতকাল মঙ্গলবার বিকেএসপি-সংশ্লিষ্ট সব ক্রীড়া ফেডারেশন, বাহিনী ও ক্রীড়া সংস্থার ২১ ডিসিপ্লিনের প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা করেছেন বিকেএসপির মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মনিরুল ইসলামসহ অন্য কর্মকর্তারা। এদিন বিকেএসপি থেকে আগের মতো তারকা খেলোয়াড় বের হয়ে না আসার পেছনের কারণ ব্যাখ্যা করেন মনিরুল।
তিনি বলেন, ‘যদি আমি বিকেএসপির প্লেয়ার সিলেকশন সময়, সেটি যদি ডিসেম্বর মাসে হয়, আমি আপনার রিকোয়েস্ট শুনে, আরেকজনের অনুরোধ, কেউ আমার আত্মীয়, কেউ আমার বাড়ির পেছনেরÑতাদের নিয়ে যদি আমি ফরটি পারসেন্ট সিলেকশনটা অনুরোধের আসর নিয়ে আসি, তাহলে ছয়-সাত বছর আমি আমার কোচদের হ্যামারিং করেও ওই প্লেয়ারদের জাতীয় পর্যায়ে আনতে পারব না। খ্যাপ খেলা ভাড়াটে খেলোয়াড় তৈরি করতে পারব, কিন্তু জাতীয় বা আন্তর্জাতিক পর্যায়ের প্লেয়ার নয়।’
মনিরুল জানান, এবার যোগ্যদের নির্বাচন করা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘গত ডিসেম্বরে একজন প্লেয়ারও রিকোয়েস্টের আওতায় ছিল না। কোনো সুযোগ ছিল না। যে যোগ্যতাসম্পন্ন, তাকেই নেওয়া হয়েছে।’
দেশের বিভিন্ন ডিসিপ্লিনে বিকেএসপির খেলোয়াড়দের আধিক্য। হকি, বাস্কেট বলসহ কিছু ডিসিপ্লিন কার্যত বিকেএসপিনির্ভর। তা ছাড়া ফুটবল, ক্রিকেট, হকি, কাবাডি, অ্যাথলেটিকস, সাঁতার, আর্চারি ও শুটিংসহ সম্পৃক্ত ডিসিপ্লিনের প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন বিকেএসপির কর্মকর্তারা।
অলিম্পিক শুটিং ও আর্চারি ঘিরে প্রত্যাশা বাড়ছে। বিকেএসপির মহাপরিচালক বলেন, ‘একযুগ পর যদি স্বর্ণ জিততে চাই, তাহলে কীভাবে আমাদের ট্রেনিং দিতে হবে, এসব কোচদের নিয়ে আমরা একসঙ্গে বসে স্বপ্ন দেখা শুরু করেছি। কিন্তু আপনারা আমাদের সাহায্য করেন।’
সভায় কী আলোচনা হয়েছে-এ প্রসঙ্গে বিসিবি পরিচালক নাজমুল আবেদীন ফাহিম বলেন, ‘ফেডারেশনগুলোর যে অনুভূতি বিকেএসপি থেকে সহযোগিতা পাওয়ার ব্যাপারে, কিছু কিছু সময় তারা সেটা হয়তো সেভাবে পায়নি। কিছু কিছু সময় ফেডারেশনগুলো থেকেও আগ্রহ দেখানো হয়নি। এ বিষয়গুলো উঠে এসেছে।’
সুত্রঃ আমার দেশ