জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সদস্য মতিউর রহমানের পর এবার ফেঁসে যাচ্ছেন সংস্থাটির সাবেক এক কর্মকর্তা। এনবিআরের কাস্টমস বিভাগের সাবেক সহকারী কমিশনার মোখলেছুর রহমান ও তার পরিবারের ৪ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদের খোঁজ পেয়েছে দুদক।
দুদক সূত্রে জানা গেছে, মোখলেছুল রহমান ঘুষ ও দুর্নীতির মাধ্যমে তাঁর অর্জিত অর্থ দিয়ে স্ত্রী ও ছেলের নামে সম্পদ গড়ে তুলেছেন। নিজেকে রক্ষা ও দুদকের কাজে বাধা দিতে বিভিন্ন সময়ে উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন। যদিও আইনগত জটিলতা কাটিয়ে শেষ পর্যন্ত মোখলেছুর রহমানের পরিবারের তিন সদস্য এখন চার্জশিটভুক্ত আসামি। শিগগিরই তদন্ত কর্মকর্তা আদালতে চার্জশিট দাখিল করবেন বলে জানা গেছে।
তদন্ত প্রতিবেদন সূত্রে জানা যায়, মো. মোখলেছুর রহমান খান (সাহান) ১৯৮০ সালের ১ অক্টোবর কাস্টমস ও এক্সসাইজ অফিস বিভাগে পরিদর্শক পদে যোগদান করেন। তিনি গত ২০১২ সালে সহকারী কমিশনার পদে পদোন্নতি পান। ২০১৬ সালের ৫ আগস্ট সহকারী কমিশনার হিসেবে ঢাকা দক্ষিণ কাস্টমস এক্সসাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট থেকে অবসর গ্রহণ করেন।
এতে আরও জানা গেছে, চাকরিকালে তিনি নিজ নামে ৫৪ লাখ ৯৮ হাজার ৪০৬ টাকার স্থাবর এবং দুই কোটি ৭৭ লাখ ৮৮ হাজার ৬৭৫ টাকার অস্থাবর সম্পদের মালিকানা অর্জন করেছেন। তার মোট স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদের পরিমাণ তিন কোটি ৩২ লাখ ৮৭ হাজার ৮১ টাকা। তার পারিবারিক ব্যয় এক কোটি ৬৩ লাখ ৪২ হাজার ২৪৬ টাকাসহ মোট অর্জিত সম্পদের পরিমাণ চার কোটি ৯৬ লাখ ২৯ হাজার ৩৩৩ টাকা।
যার বিপরীতে মোট আয় পাওয়া যায় চার কোটি ৩০ লাখ ৮২ হাজার ২২০ টাকা। অর্থাৎ ৬৫ লাখ ৪৭ হাজার ১১৩ টাকা অবৈধ হিসাব হিসেবে প্রমাণ পাওয়া গেছে। যা দুদক আইন ২০০৪ এর ২৭(১) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও জনপ্রিয় সাইট থেকে হুবহু কপি করা। তাই দায়ভার মুল পাবলিশারের। এরপরও কোন অভিযোগ বা ভিন্নমত থাকলে আমাদেরকে জানান আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব সমাধান করে নিতে। |