
দিল্লির ভয়াবহ বায়ুদূষণে স্বাভাবিক জীবনযাপন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। শ্বাস নিতে কষ্টকর পরিস্থিতির কারণে স্থানীয় প্রশাসন বাসিন্দাদের ঘরের বাইরে না যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছে। এ অবস্থায় বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দিল্লিতে অবস্থানকালে চরম স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়েছেন বলে জানা গেছে।
বাংলাদেশের গণভবন থেকে নিরাপত্তাজনিত কারণে দিল্লিতে আশ্রয় নেওয়া শেখ হাসিনার জন্য বাইরে যাওয়া এখন প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়েছে। ঘন দূষণের কারণে শ্বাসকষ্টে ভুগছেন তিনি। এমনকি তাঁর বাইরে যাওয়া, প্রকাশ্যে আসা কিংবা কোনো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে উপস্থিতিও প্রায় নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
এক সময় যাঁদের সাথে রাজনৈতিক বিরোধ ছিল, আজ তাঁরা হাসিনার চারপাশে থাকলেও সুবিধা নিতে ভোলেননি কেউ। আদালতে দাঁড়িয়ে হাসিনা বলেছেন, “যারা আমার বিরুদ্ধে ভুল করেছে, তারা আর কখনো আওয়ামী লীগ করবে না।”
এমন জটিল পরিস্থিতির মধ্যে এসেছে আরেকটি দুঃসংবাদ। জাতিসংঘের একটি সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে শেখ হাসিনার শাসনামলে মানবাধিকার লঙ্ঘনের গুরুতর অভিযোগ আনা হয়েছে। গত বছরের ছাত্র আন্দোলন দমন, সহিংসতা এবং বিরোধী দলের ওপর দমননীতি আন্তর্জাতিক মহলে সমালোচিত হয়েছে।
জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনের ওয়ালকার তুর্ক জানিয়েছেন, সহিংসতার মাধ্যমে বিরোধী পক্ষকে দমন এবং মানবাধিকারের লঙ্ঘন বাংলাদেশের জন্য ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি করেছে। ১২ ফেব্রুয়ারি প্রকাশিত জাতিসংঘের আগের এক প্রতিবেদনেও বলা হয়েছিল, শেখ হাসিনার সরকারের দমননীতি দেশের মানবাধিকার পরিস্থিতিকে গুরুতরভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে।
বিশ্লেষকদের মতে, এসব আন্তর্জাতিক প্রতিবেদন শেখ হাসিনার রাজনৈতিক ক্যারিয়ারে বড় ধরনের আঘাত হেনেছে। একই সঙ্গে তাঁর দেশে ফেরার সম্ভাবনা ও রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে।
দিল্লির বিষাক্ত বাতাসে স্বাস্থ্যঝুঁকি ও আন্তর্জাতিক চাপ—দুই দিকেই এখন সংকটে শেখ হাসিনা।











































