প্রচ্ছদ রাজনীতি এনসিপি এলে ৪০, না এলে ২৩ আসনে সমঝোতা করবে বিএনপি

এনসিপি এলে ৪০, না এলে ২৩ আসনে সমঝোতা করবে বিএনপি

২৩৭ আসনে সম্ভাব্য প্রার্থীর নাম ঘোষণার এক সপ্তাহ পার হলেও শরিক দলগুলোর সঙ্গে আসন সমঝোতা এখনো চূড়ান্ত করতে পারেনি বিএনপি। এতে জোটের শরিক দলগুলো কিছুটা অসন্তুষ্ট। তারা মনে করছেন, বিএনপির প্রার্থীরা মাঠে নেমে যাওয়ায় পরে আসন ছাড়ের সিদ্ধান্ত কার্যকর করা কঠিন হবে।

বিএনপির শীর্ষ নেতারাও স্বীকার করছেন, শরিকদের জন্য আসন চূড়ান্তে দেরি হলে দলের সম্ভাব্য প্রার্থীদের নিয়ন্ত্রণে রাখা কঠিন হবে। কারণ অনেকে পরে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন জমা দিতে পারেন—যা শরিকদের জন্য বিব্রতকর পরিস্থিতি তৈরি করবে।

নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায়, ৬৩টি আসন এখনো ফাঁকা থাকলেও এর মধ্যে সর্বোচ্চ ৪০টি আসন শরিক দল ও মিত্র জোটকে ছেড়ে দিতে পারে বিএনপি। তবে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) ও বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের সঙ্গে সমঝোতা না হলে শরিকদের জন্য আসন সংখ্যা কমে ২৩টিতে নেমে আসবে।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ যুগান্তরকে বলেন, শরিকদের আসন নিয়ে জাতীয় স্থায়ী কমিটিতে আলোচনা হয়েছে। তাদের সঙ্গে বৈঠক করে খুব দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। যারা শরিকদের সঙ্গে লিয়াজোঁ করছেন, তাদের নিয়ে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বসবেন।

অন্যদিকে, অন্তত দশটি শরিক দলের শীর্ষ নেতা যুগান্তরকে জানান, তাদের প্রত্যাশিত আসনে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থীরা প্রতিদিন বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করছেন—শোডাউন ও গণসংযোগ করছেন। এতে তারা (শরিক দলের নেতারা) নিজেরা মাঠে নামতে পারছেন না। বিএনপির প্রার্থীরা একই আসনে প্রচারণা চালালে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে বলে তারা আশঙ্কা করছেন।

একজন শরিক দলের নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, বিএনপির নীতিনির্ধারকদের আমরা বাস্তব পরিস্থিতি জানিয়ে দ্রুত সমাধানের অনুরোধ জানিয়েছি। দেরি হলে ক্ষতি হবে সবার।

শরিকদের মধ্যে নিবন্ধিত কয়েকটি দলের নেতারা আরও বলেন, নির্বাচনে জোটে থেকেও নিজস্ব প্রতীক ব্যবহার করতে হবে। কিন্তু তাদের আসনে বিএনপির প্রার্থীরা এখনই ধানের শীষ প্রতীকে প্রচারণা শুরু করে দিয়েছেন। পরবর্তীতে আসন ছাড় দেওয়া হলেও ভোটারদের মনে অন্য প্রতীকের পরিচিতি তৈরি করা প্রায় অসম্ভব হয়ে উঠবে।

বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র জানিয়েছে, শরিক দলের গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের প্রার্থিতা নির্ধারণে তাদের অতীত আন্দোলনে ভূমিকা, জনপ্রিয়তা, রাজনৈতিক অবস্থান ও ভবিষ্যৎ সরকারে সম্ভাব্য ভূমিকা বিবেচনা করা হচ্ছে।