হেড লাইন: গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে ২৬ অক্টোবর পর্যন্ত কর্মস্থলে অনুপস্থিত ছিলেন নিষিদ্ধ সংগঠন সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ও সরকারি মাহতাব উদ্দিন কলেজের প্রভাষক ইসরাইল হোসেন। হঠাৎ একদিন উপস্থিত হয়ে হাজিরা খাতায় একসঙ্গে ৩ মাস ২২ দিনের স্বাক্ষর করেন এ প্রভাষক। এ ঘটনায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। রোববার (২৭ অক্টোবর) সকালে এমন ঘটনা ঘটেছে ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার সরকারি মাহতাব উদ্দিন কলেজে।
ইসরাইল হোসেন কালীগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও কলেজটির ইতিহাস বিভাগের প্রভাষক। এদিকে সাধারণ শিক্ষার্থীরা জানান, রোববার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সরকারি মাহতাব উদ্দিন কলেজে ঢুকে হাজিরা খাতায় তিনি স্বাক্ষর করেন। এ সময় শিক্ষার্থীদের সন্দেহ হলে টেবিলের ওপর পড়ে থাকা হাজিরা খাতা খুলে দেখতে পান গত ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর থেকে ২৬ অক্টোবর পর্যন্ত তিনি প্রতিষ্ঠানে আসেননি। রোববার প্রতিষ্ঠানে এসে বিগত ৩ মাস ২২ দিনের স্বাক্ষর একদিনে করেছেন।
তবে ইসরাইল হোসেন কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মনোজ কান্তি বিশ্বাসের সহযোগিতায় এমন কাজ করতে পারেন বলে ধারণা সাধারণ শিক্ষার্থীদের। এ বিষয়ে জানতে শিক্ষক ইসরাইল হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি। জানা গেছে, কলেজে এসে স্বাক্ষর করে তিনি বিএনপির পার্টি অফিসে অগ্নিসংযোগ ও পূর্বাশা কাউন্টার ভাঙচুর মামলায় আদালতে আত্মসমর্পণ করতে যান। পরে আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এ বিষয়ে নেট দুনিয়ায় তোলপাড় চলছে। সবাই এই শিক্ষকের কড়া সমালোচনা করেছেন। মো. লিমন নামে একজন ফেসবুকে লিখেছেন, সেনাবাহিনীকে অনুরোধ করছি প্রভাষক লীগকে খুঁজে বের করে কঠোর এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিন। এদের কারণে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে সন্ত্রাসী আখড়া তৈরি হয়েছে। জান্নাত নামে একজন লিখেছেন, তাকে দ্রুত আইনের আওতায় এনে কঠিন শাস্তির ব্যবস্থা করা হোক। মিসতারা খাতুন নামে একজন লিখেছেন, স্বৈরাচার আওয়ামী লীগের আমলে এ রকম বহু ঘটনা আছে। অফিসে না গিয়ে স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসায় না গিয়েও সরকারি বেতন ভাতা পেতেন স্বৈরাচারের দোসররা। এখনই সময় তাদেরকে চাকরি থেকে বহিষ্কার করে দ্রুত কঠোর ব্যবস্থা নিন। অনেকেই লিখেছেন, এই প্রভাষককে বিচারের আওতায় আনা হোক। সে স্বৈরাচারের দোসর।
সূত্র : দৈনিক ইনকিলাব
প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও জনপ্রিয় সাইট থেকে হুবহু কপি করা। তাই দায়ভার মুল পাবলিশারের। এরপরও কোন অভিযোগ বা ভিন্নমত থাকলে আমাদেরকে জানান আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব সমাধান করে নিতে। |