সারাদেশ: ইফতারের পর সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) হুমায়ুন বাশারের ঘরে চুরি করতো ঢোকেন দুই যুবক। এক পর্যায়ে তাদেরকে স্থানীয় এক নারী দেখে ফেলায় তারা পালিয়ে যায়। পরে ধাওয়া করলেও তাদের ধরা সম্ভব হয়নি। শনিবার (১৬ মার্চ) সন্ধ্যায় লক্ষ্মীপুর পৌরসভার ১২ নম্বর ওয়ার্ডের আবিরনগর এলাকায় দেওয়ান বাড়িতে এই ঘটনা ঘটে। রোববার (১৭ মার্চ) দুপুরে লক্ষ্মীপুর শহর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ জহিরুল আলম ও স্থানীয়রা সাংবাদিকদের বিষয়টি জানিয়েছেন। পুলিশের এএসআই হুমায়ুন বাশার খাগড়াছড়িতে কর্মরত রয়েছেন। এ ব্যাপারে বক্তব্য জানতে তাকে একাধিকবার কল করলেও তিনি রিসিভ করেননি। তার স্ত্রীও গণমাধ্যমে বক্তব্য দিতে রাজি হননি।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, শুক্রবার সন্ধ্যায় হুমায়ুন বাশারের স্ত্রী ফারজানা আক্তার সন্তানদের নিয়ে তার বাবার বাড়ি কমলনগর উপজেলার চরফলকন ইউনিয়নের বেড়াতে যান। যাওয়ার সময় প্রতিবেশী রোকেয়া বেগমকে ঘরের চাবি দিয়ে যান। শনিবার (১৬ মার্চ) ইফতারের পর তিনি পুলিশ কর্মকর্তার ঘরের প্রধান ফটকের তালা খুলে ভেতরে ঢোকার চেষ্টা করেন। কিন্তু ভেতর থেকে বন্ধ থাকায় ঢুকতে পারছিলেন না। পরে প্রধান ফটকের বাইরে থেকে তিনি দেখতে পান দুই যুবক বাসায় ঢুকেছে। এসময় চিৎকার করলে আশপাশের লোকজন জড়ো হতে থাকে। একপর্যায়ে ওই দুই যুবক নিরাপত্তা দেয়াল লাফিয়ে পালিয়ে যায়। স্থানীয় একটি সিসি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা যায়, দুই যুবক হেঁটে আসছে। এরমধ্যে একজনের হাতে পলিথিন ভর্তি ইফতার। পরে তারা ইফতার করে। চোররা পালিয়ে যাওয়ার পর পুলিশ কর্মকর্তার বাসার নিরাপত্তা দেয়ালের সঙ্গে ইফতারের পলিথিন ঝুলতে দেখে স্থানীয়রা।
গত ১৪ মার্চ রাতে একই এলাকায় দক্ষিণ আফ্রিকান প্রবাসী রায়হান মাহমুদ ও ফোরকান মাহমুদের বাড়িতে ঢুকে একদল মুখোশধারী প্রায় ৭ ভরি স্বর্ণালংকার, ৬০ হাজার টাকা ও ৩টি মোবাইল নিয়ে যায়। ঘরে থাকা সবাইকে বন্দুক ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে জিম্মি করা হয়। যাওয়ার সময় সবাইকে বেঁধে রেখে যায় মুখোশধারীরা। পরদিন পরিবারের সদস্য ইমরান হোসেন সদর মডেল থানায় ডাকাতির ঘটনায় মামলা করতে চাইলেও পুলিশ চুরি বলে অভিযোগ নিয়েছে। তবে এখনো পর্যন্ত কাউকে আটক করতে পারেনি পুলিশ।
লক্ষ্মীপুর শহর পুলিশ ফাঁড়ির (ইনচার্জ) জহিরুল আলম সাংবাদিকদের বলেন, খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। বাড়িটি খালি থাকায় ঘটনাটি ঘটেছিল। সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুদ্দিন আনোয়ার বলেন, ঘটনাটি শুনেছি। তবে এখনো পর্যন্ত কেউ থানায় অভিযোগ করেননি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। তিনি আরও বলেন, ১৪ মার্চের ঘটনায় পুলিশ কাজ করছে। এখনো কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি। ওই ঘটনা ডাকাতি নয়, চুরির ঘটনা ছিল। খুব শিগগিরই জড়িতদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা হবে।
প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও জনপ্রিয় সাইট থেকে হুবহু কপি করা। তাই দায়ভার মুল পাবলিশারের। এরপরও কোন অভিযোগ বা ভিন্নমত থাকলে আমাদেরকে জানান আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব সমাধান করে নিতে। |