
রাজশাহীর বাঘা উপজেলা থেকে ঢাকায় গরু বিক্রি করতে আসার পথে টাঙ্গাইলে ট্রাক দুর্ঘটনায় মারা যান আরিফুলের বাবা। বাবার দাফন শেষ করে আরিফুল ফের ঢাকার হাটে এসেছেন। গরু নিয়ে রাজধানীর বসিলা হাটে বসেছিল আরিফুল। তার গরু অবিক্রীত থাকার খবর প্রকাশিত হয় গণমাধ্যমে।
তবে সুখবর হলো আরিফুলের সেই তিনিটি গরুই বিক্রি হয়ে গেছে। আরিফুল এখন বাড়ির পথে রওনা দেবে।
আরিফুলের গরু বিক্রির খবর জানিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক আইন বিভাগের ছাত্র সাইয়েদ আব্দুল্লাহ।
তিনি সামাজিক মাধ্যমে গরু বিক্রির বিষয়টি জানিয়ে বলেন, ‘একটা ভালো খবর দিই।
সকালে আরিফুলের অবিক্রীত তিনটা গরু নিয়ে রাজধানীর বসিলা হাটে হতাশ হয়ে বসে থাকার খবরটা নিশ্চয়ই দেখেছিলেন আপনারা সাংবাদিক আবুল কালাম আজাদ ভাইয়ের পত্রিকার রিপোর্ট এবং তারপর ওই নিউজের বরাতে সোশ্যাল মিডিয়ায় সার্কুলেশনের কল্যাণে। আরিফুলের কাছ থেকে খবর পেলাম মাত্র। তিনটি গরুই বিক্রি হয়ে গিয়েছে। ২টা গরু দুপুরে বিক্রি হওয়ার পর বাকি একটা আটকে ছিল।
সাইয়েদ আব্দুল্লাহ বলেন, ‘ফেসবুক পোস্ট দেখে কয়েকজন ক্রেতা যোগাযোগ করেছিলেন আরিফের সাথে যোগাযোগ করার জন্য। যোগাযোগ করিয়ে দিয়েছিলাম তাদের। এ রকম একজন ভদ্রলোক গিয়ে শেষ গরুটা কিনে নিয়েছেন বলে ফোনে জানাল আমাকে। অন্য আরো কয়েকজন যারা আগ্রহী ছিলেন, তারা আপাতত আর যোগাযোগ করবেন না অনুগ্রহপূর্বক।
আপনাদের এই আন্তরিকতার জন্য কৃতজ্ঞতা। বিশাল বড় ধন্যবাদ আপনাদের এই উদারতার জন্য।’
তিনি বলেন, পত্রিকা আর সোশ্যাল মিডিয়ার কল্যাণে অবশেষে আরিফুলের এই ঘনঘোর বিপদের দিনে আরিফুলের ইস্যুটা যে কিছুটা অ্যাটেনশন পেল, তার দুঃখ আপনাদের হৃদয় স্পর্শ করে গেল এবং ছেলেটা এর মাধ্যমে কিছুটা উপকার পেল— এই কমিউনিকেশনগুলোই হলো সোশ্যাল মিডিয়ার টুকরো টুকরো উপকারী দিক। আরিফুল এবং তার দুলাভাই এখন তাদের বাড়ি রাজশাহীর পথ ধরবে। তাদের জন্য শুভ কামনা।
আরিফুলের জন্য নেটিজেনদের মনটা বিষণ্ণ হয়ে ছিল দিনভর। সেটা সামাজিক মাধ্যমেই প্রকাশ পেয়েছিল। গরু বিক্রি হয়ে যাওয়ার খবরটা কিছুটা স্বস্তি দেবে তাদের।