আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে সাবেক ও বর্তমান মন্ত্রী, সংসদ সদস্য, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ সামরিক-বেসামরিক কর্মকর্তা, নিম্ন ও উচ্চ আদালতের বিচারক, ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন সেক্টরের ক্ষমতা অপব্যবহারকারী ব্যক্তিদের তালিকা তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে বিএনপি।
দলটির নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায়, অত্যন্ত গোপনে কাজটি সম্পাদন করছেন দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা। অনুসন্ধান টিমটি প্রশাসনিক বিষয়ে অভিজ্ঞ ব্যক্তিদের সমন্বয়ে গঠন করা হয়েছে। তারা নিবিড়ভাবে অনুসন্ধান করছে এবং বিভিন্ন সেক্টরের দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের তথ্যাদি সংগ্রহের কাজ শুরু করেছেন। এক্ষেত্রে প্রশাসনের ভেতরে ও বাইরে বিএনপি সমর্থক পেশাজীবীরাও তথ্য-উপাত্ত দিয়ে সহায়তা করছেন বলে জানা গেছে।
এ বিষয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সরকারকে দায়ী করে বলেছেন, এই আজিজ-বেনজীরকে কারা সৃষ্টি করেছে? দেশে আরও অসংখ্য আজিজ-বেনজীরের মতো কর্মকর্তা সরকারের আশ্রয়-প্রশ্রয়ে অপরাধের সঙ্গে জড়িত।
চারদিকে তাকিয়ে দেখবেন, তাদের দুর্নীতি ছাড়া আর কিছু নেই। অবশ্য ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, দুর্নীতির বিরুদ্ধে তার সরকারের অবস্থান জিরো টলারেন্স। বেনজীর আহমেদের তদন্ত হচ্ছে, আজিজেরও তদন্ত করতে পারবে দুদক। বিচার করার সৎসাহস সরকারের আছে। এ ইস্যুতে সরকার মোটেও বিব্রত নয়।
আরও পড়ুন: শিলাস্তি, তানভীর ও শিমুলের আরও ৮ দিনের রিমান্ড চাইবে ডিবি
তবে বিষয়টি জানা নেই মন্তব্য করে বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স চ্যানেল 24 অনলাইনকে বলেন, অনুসন্ধান টিম গঠনের বিষয়ে আমার জানা নেই। তবে জাতির স্বার্থে সত্য উপস্থাপন করে যাবো।
সময়মতো দেশবাসীর সামনে দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত সব ব্যক্তিদের তথ্য প্রকাশ করা হবে মন্তব্য করে প্রিন্স বলেন, গত ১৫ বছরে আওয়ামী লীগ সরকার প্রশাসনিক সব জায়গায় নিজেদের বিশ্বস্ত লোক বসিয়েছে। নিরপেক্ষ ও সৎ কর্মকর্তাদের বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠিয়েছে, অনেককে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস ও মৌলিক মানবাধিকার হরণের পাশাপাশি নিজেরা লুটপাটে নিমগ্ন হয়ে পড়েছেন।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান বলেন, এসব সুবিধাভোগীই তো অবৈধ ও অনির্বাচিত সরকারকে টিকিয়ে রেখেছে। তারাও তাদের সুযোগ-সুবিধা দিয়েছে। শেষ পর্যন্ত তারা কী করবে, তা বলা যাচ্ছে না। তবে আমরা গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও ভোটাধিকার রক্ষার আন্দোলনে আছি। সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান ধ্বংসকারী ও দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে আমাদের আন্দোলন চলবে।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা সভা-সেমিনারে দুর্নীতিবাজদের বিচারের কথা বলছি। সামনে হয়তো আরও কিছু পদক্ষেপ নেয়া হতে পারে।
সূত্র: সমকাল
প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও জনপ্রিয় সাইট থেকে হুবহু কপি করা। তাই দায়ভার মুল পাবলিশারের। এরপরও কোন অভিযোগ বা ভিন্নমত থাকলে আমাদেরকে জানান আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব সমাধান করে নিতে। |