
গাজীপুরের টঙ্গী পূর্ব থানা এলাকার টিঅ্যান্ডটি বাজার জামে মসজিদের খতিব মুফতি মুহিব্বুল্লাহ মিয়াজী আবারও আলোচনায়। সম্প্রতি বাসা থেকে তার পালানোর চেষ্টার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, খতিব মুফতি মুহিব্বুল্লাহ মিয়াজী বাসা থেকে দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করছেন। এসময় পেছন থেকে আরেক ব্যক্তি তাকে ধাওয়া করে ধরে ফেলেন। কিছুক্ষণের মধ্যেই সেখানে স্থানীয়দের ভিড় জমে যায় এবং শেষ পর্যন্ত পালাতে ব্যর্থ হন তিনি।
এর আগে তিনি নিজেই ‘অপহরণ নাটক’ সাজানোর ঘটনায় সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন। সে সময় পঞ্চগড় থেকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে পুলিশ। পরবর্তীতে মুফতি মিয়াজী স্বীকার করেছিলেন, তিনি নিজেই পঞ্চগড়ে গিয়েছিলেন এবং ঘটনার সময় ‘মাথা ঠিক ছিল না’।
তিনি বলেন, “আমি হাঁটতে গিয়েছিলাম। হঠাৎ মনে হলো চলতে থাকি। কোথায় যাচ্ছি বুঝতে পারছিলাম না। একসময় অটো, তারপর বাসে উঠে পঞ্চগড়ে পৌঁছাই।
তিনি আরো বলেন, ‘একপর্যায়ে আমি দেখি যে পঞ্চগড় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, পুলিশ লাইনস এগুলো হেঁটে পার হয়ে গেছি। পার হয়ে গিয়ে আমি একটা শিকল কুড়িয়ে পাইলাম। ওইটা নিয়ে আমি এক যায়গায় প্রস্রাব করতে বসলাম। প্রস্রাব করলাম আর পায়জামায় প্রস্রাব লাগল, এর পরে জামায়ও লাগল। জামা খুইলা ফালাইলাম, পায়জামাও খুললাম। কিন্তু খোলার পরে আবার পরতে হবে এই জিনিসটা আমি আর পারি নাই ঠাণ্ডায়। ঠাণ্ডায় ওইখানে শুইয়া পড়লাম আর পায়ে শিকল দিলাম। এইটা কেন করতেছি এইটার কোনো চিন্তাভাবনা আমার নাই, খালি যা মাথায় আসতেছে তা করতেছি।’
গত ২৩ অক্টোবর সকালে পঞ্চগড় সদর থানার হেলিপ্যাড বাজার এলাকা থেকে তাকে অজ্ঞান অবস্থায় গাছের সঙ্গে লোহার শিকল দিয়ে বাঁধা অবস্থায় উদ্ধার করে পুলিশ। পরে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
সূত্র : জনকণ্ঠ













































