প্রচ্ছদ রাজনীতি আপা যেখানে আছেন ভাল আছেন, ওখানেই থাকেন, আমরা সময়মতো ধরে আনব

আপা যেখানে আছেন ভাল আছেন, ওখানেই থাকেন, আমরা সময়মতো ধরে আনব

সারাদেশ: বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক বলেছেন, শেখ হাসিনা ছাত্র- জনতার আন্দোলনের মুখে ভারতে পালিয়ে গিয়ে দেশের বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্র করছে। তাই দেশবাসীকে ঐক্যবদ্ধ থেকে তার যেকোনো যড়যন্ত্র রুখে দিতে হবে। তাকে দেশে এনে বিচার করতে হবে। তিনি বলেন, হাসিনা রাজনীতি করেছে তার পিতার হত্যার বিচার করতে। বিচারের নামে নিরীহ জনগণকে ফাঁসানো হয়েছে। হাসিনা দেশ থেকে লক্ষ কোটি টাকা পাচার করেছে।

সে টাকা ফিরিয়ে আনতে হবে । হাসিনার মতো আওয়ামী লীগের নেতাদেরও বিচার করতে হবে। তিনি আরো বলেন, হিন্দুরা নিজেরা মন্দির ভেঙ্গে আমাদের উপর দোষ চাপিয়ে ফায়দা লুটতে চায়। কিন্তু সে সুযোগ দেয়া হবে না। সীমান্তে নিরীহ মানুষকে হত্যার বিচার করতে হবে। নতুন স্বাধীনতা ধরে রাখতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। তিনি শনিবার দুপুরে বগুড়া শহরের জিরো পয়েন্ট সাতমাথাস্থ মুক্তমঞ্চে খেলাফত মজলিস আয়োজিত গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। মাওলানা এহসানুল হকের সভাপতিত্বে শাপলা চত্বর ও জুলাই গণহত্যার বিচার দাবিতে আয়োজিত সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন খেলাফত মজলিসের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা জালালুদ্দিন আহমদ ও মাওলানা আতাউল্লাহ আমিন, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা এনামুল হক মুসা ও মাওলানা ফজলুর রহমান, মুফতি শফি কাসেমী, মুফতি মনোয়ার হোসেন, মুফতি মামুন রহমানী, মুফতি সালাহুদ্দিন মাসউদ , হাফেজ শফিকুল ইসলাম প্রমুখ।

টাঙ্গাইল প্রতিনিধি জানান, শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ্য করে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব মামুনুল হক বলেছেন, ‘সীমান্তের অপর প্রাপ্ত থেকে আপা এখনো সংবাদ পাঠায়। চট করে ঢুকে পড়ার ধান্ধা করে। আপা যেখানে আছেন ভালো আছেন। ওখানে থাকেন আমরা ধরে আনব সময়মতো। এর আগে ঢুকবার চেষ্টা করবেন না। এদেশের মানুষের কবলে পড়লে কত ধানে কত চাল হয় হিসাবটা বুঝে পাবেন।’

শনিবার টাঙ্গাইল শহরের শহীদ স্মৃতি পৌর উদ্যানে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সব শহীদ ও আহতদের স্মরণে দোয়া এবং নৈরাজ্যবাদবিরোধী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন। বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস টাঙ্গাইল জেলা শাখা এ সমাবেশের আয়োজন করে।

সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন জেলা ক্বওমী ওলামা পরিষদের সভাপতি মাওলানা আব্দুল আজিজ। সমাবেশে বিশেষ অতিথি ছিলেন- খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় শূরা সদস্য মুফতি আশরাফুজ্জামান, যুগ্ম-মহাসচিব মাওলানা জালালুদ্দীন আহমাদ ও মাওলানা আতাউল্লাহ আমিন। এ ছাড়া জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট ফরহাদ ইকবাল, জামায়াতে ইসলামীর জেলা আমির আহসান হাবীব মাসুদ ও খেলাফত মজলিসের জেলা সভাপতি হাফেজ এনামুল হাসানসহ দলে অন্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

সূত্র : নয়া দিগন্ত

প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও জনপ্রিয় সাইট থেকে হুবহু কপি করা। তাই দায়ভার মুল পাবলিশারের। এরপরও কোন অভিযোগ বা ভিন্নমত থাকলে আমাদেরকে জানান আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব সমাধান করে নিতে।