প্রচ্ছদ জাতীয় আপনার মোবাইল ফোন কি বৈধ? যাচাই করবেন যেভাবে

আপনার মোবাইল ফোন কি বৈধ? যাচাই করবেন যেভাবে

সরকারের রাজস্ব আহরণ নিশ্চিত করতে এবং ব্যবহৃত মোবাইল ফোনের চুরি ও অবৈধ ব্যবহার রোধে অনিবন্ধিত মোবাইল সেট বন্ধের উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। গেল জানুয়ারি মাসে বিটিআরসি থেকে বিষয়টি নিশ্চিত করে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়।

বিটিআরসির এমন সিদ্ধান্তের পর দুশ্চিন্তায় পড়েছেন অনেক গ্রাহক। কারণ, অল্প টাকায় ফোন কেনার প্রলোভনে অনেক ব্যবহারকারী অনিবন্ধিত বা ‘লাগেজ পার্টি’ থেকে ফোন কিনে থাকেন। যার ফলে ব্যবহারকারী অনেক সময় নিজেই জানেন না- তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি বৈধ নাকি অবৈধ।

মোবাইল বৈধ না অবৈধ যাচাই করবেন যেভাবে

মোবাইল হ্যান্ডসেট কেনার আগে মেসেজ অপশন থেকে KYD ১৫ ডিজিটের IMEI নম্বর লিখে (উদাহরণ- KYD 123456789012345) ১৬০০২ নম্বরে পাঠান। এরপর ফিরতি বার্তায় জানতে পারবেন মোবাইলটি বৈধ না অবৈধ।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বিটিআরসির মাধ্যমে জাতীয় পরিচয়পত্র ও নিবন্ধিত সিম কার্ডের সঙ্গে ট্যাগিং করে প্রতিটি মোবাইল ফোন নিবন্ধন করতে হবে। সরকারি সেবা গ্রহণ, প্রদান নিশ্চিত করা, অবৈধভাবে উৎপাদিত, আমদানি করা মোবাইল ফোনের ব্যবহার বন্ধ করার মাধ্যমে সরকারের রাজস্ব আহরণ নিশ্চিত করা এবং ব্যবহৃত মোবাইল ফোনের চুরি ও অবৈধ ব্যবহার রোধ করার উদ্দেশ্যে বিটিআরসির এনইআইআর-এর কার্যক্রম পূর্ণাঙ্গ রূপে চালু করার কার্যক্রম শুরু হয়েছে।

আরও পড়ুন: সিরিয়াস রিলেশনশিপের জন্য ডেটিং অ্যাপ কতটা নির্ভরযোগ্য

প্রথমে neir.btrc.gov.bd এই লিংকে ভিজিট করে আপনার ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্ট রেজিস্টার করুন। এরপর পোর্টালের Special Registration সেকশনে গিয়ে মোবাইল হ্যান্ডসেটের IMEI নম্বরটি দিন। প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টের ছবি/স্ক্যান কপি (যেমন: পাসপোর্টের ভিসা/ইমিগ্রেশন তথ্যাদি, ক্রয় রশিদ ইত্যাদি) আপলোড করুন এবং Submit বাটনটি প্রেস করুন।

হ্যান্ডসেটটি বৈধ হলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে নিবন্ধিত হবে। হ্যান্ডসেটটি বৈধ না হলে এসএমএসের মাধ্যমে গ্রাহককে জানিয়ে পরীক্ষাকালীন সময়ের জন্য নেটওয়ার্কে সংযুক্ত রাখা হবে। সেই সময় পার হলে সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। মোবাইল অপারেটরের নিকটস্থ কাস্টমার কেয়ার সেন্টারের সাহায্যেও এই সেবা নেয়া যাবে।

প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও জনপ্রিয় সাইট থেকে হুবহু কপি করা। তাই দায়ভার মুল পাবলিশারের। এরপরও কোন অভিযোগ বা ভিন্নমত থাকলে আমাদেরকে জানান আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব সমাধান করে নিতে।