
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের বর্ণবাদবিরোধী অবিসংবাদী নেতা মার্টিন লুথার কিং বলেছিলেন-‘আই হ্যাভ এ ড্রিম’। তেমনি আমিও আজ বলছি-আই হ্যাভ এ প্ল্যান।আর এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নে আপনাদের প্রত্যেককে কাজ করতে হবে।
তারেক রহমান বলেন, আজকেই এই মঞ্চে আমাদের সমমনা দলগুলোর শীর্ষ নেতারাও আছেন। আমি আমার দলের নেতৃবৃন্দ, দেশবাসী ও সমমনা নেতাদের নিয়ে সুন্দর শান্তিপূর্ণ বাংলাদেশ গড়ব।
রাজধানীর ৩০০ ফিটে গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানে উপস্থিত জনগণের উদ্দেশে এসব কথা বলেন তারেক রহমান।
জনমানুষের গণতন্ত্রের আকাঙ্ক্ষার কথা তুলে ধরে তিনি বলেছেন, এদেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হোক। এজন্য দেশের সবার সহযোগিতা প্রয়োজন।
দীর্ঘ ১৭ বছরের নির্বাসন শেষে প্রিয় জন্মভূমিতে ফিরে ঐতিহাসিক ভাষণে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান আরও বলেন, আমার একটি পরিকল্পনা আছে, দেশের মানুষের উন্নয়নের জন্য, দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য। সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে হলে প্রতিটি মানুষের সহযোগিতা প্রয়োজন হবে। ইনশাআল্লাহ আমরা সে পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করব।
এসময় তিনি নিজের পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য নেতাকর্মীদের নিয়ে হাত তুলে আল্লাহর কাছে দোয়া করেন।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ১৯৭১ সালের মতো ২০২৪ সালে এ দেশের ছাত্র-জনতাসহ সর্বশ্রেণির মানুষ দেশের স্বাধীনতাকে রক্ষা করেছিল। আজ বাংলাদেশের মানুষ স্বাধীনতা ফিরে পেতে চায়, তাদের কথা বলার অধিকার ফিরে পেতে চায়।
এর আগে অনুষ্ঠানের শুরুতে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আমরা বাংলাদেশের মানুষের পক্ষ থেকে আমাদের নেতাকে স্বাগত জানাচ্ছি। তিনি দূর থেকে প্রায় দেড় যুগ আমাদের নেতৃত্ব দিয়েছেন। গণতন্ত্র উত্তরণের কঠিন পথগুলো পার করেছি তার নেতৃত্বে।
সকাল থেকেই রাজধানী ও আশপাশের জেলা থেকে আসা লাখো মানুষের উপস্থিতিতে ৩০০ ফিট এলাকা এক জনসমুদ্রে পরিণত হয়। স্লোগানে স্লোগানে মুখরিত হয়ে ওঠে পুরো এলাকা। মঞ্চে ওঠার পর তারেক রহমান হাত নেড়ে জনতাকে অভিবাদন জানান।
এর আগে আজ বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তারেক রহমানকে বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ‘বিজি ২০২’ ফ্লাইটে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। বিমানবন্দরের ভিআইপি লাউঞ্জ পেরিয়ে মাটি ছুঁয়ে দেশের মুক্ত বাতাসে নিঃশ্বাস নেন তারেক রহমান।
তার সঙ্গে ছিলেন স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমান এবং কন্যা ব্যারিস্টার জাইমা রহমান।
বিমানবন্দর থেকে বেরিয়ে কড়া নিরাপত্তায় বুলেটপ্রুফ বাসে করে, রাস্তার দুপাশে দাঁড়ানো লাখ লাখ নেতাকর্মীর ভালোবাসায় সিক্ত হয়ে এবং জনতার উত্তাল তরঙ্গ পেরিয়ে ৩০০ ফিট সড়ক সংলগ্ন বিশাল গণঅভ্যর্থনার মঞ্চে উপস্থিত হন তারেক রহমান।
সূত্র: যুগান্তর











































