ঢাকাই সিনেমার দাপুটে অভিনেতা মান্না। ২০০৮ সালে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান এই নায়ক। তার অভিনীত শেষ সিনেমা জাহিদ হোসেন পরিচালিত ‘জীবন যন্ত্রণা’, যা এখনও মুক্তির অপেক্ষায়। আর চলতি বছর সিনেমাটি মুক্তির সম্ভবনাও রয়েছে। অবশ্য এর আগে তা ভারত ঘুরে আসছে! কারণ, সিনেমাটির দৃশ্যধারণ হয়েছিল ৩৫ মি.মি. লেন্সে। সিনেমাটি এবার কলকাতায় ডিজিটাল ফরম্যাটে রূপান্তর করা হচ্ছে।
সিনেমার প্রযোজক খোরশেদ আলম খসরু জানিয়েছেন, এরই মধ্যে ৩৫ মি.মি. থেকে ডিজিটালে রূপান্তরের কাজ চলছে। এমনকি সেটা প্রায় শেষ পর্যায়ে। তারপর এ বছর বিজয় দিবসে (১৬ ডিসেম্বর) সিনেমাটি মুক্তির পরিকল্পনা রয়েছে।
খোরশেদ আলম খসরু আরও বলেন, তখনকার সময়ে এটা অনেক বিগ বাজেটের একটা ছবি ছিল। প্রায় ১৫ বছর হয়ে গেল মান্না মারা গেছে। এখনও তার অনেক ভক্ত-অনুসারী আছে, যাদের অনেকেই আমাকে ফোন করে ছবিটির বিষয়ে জানতে চান, দেখার আগ্রহ প্রকাশ করেন। আগে মান্নার ছবি মানেই ছিল হাউসফুল। এখন এতদিন পর মান্নার সিনেমা মুক্তি পেলে, জানি না দর্শক সেটা কীভাবে নেয়। তবে আশা করছি, ভালো সাড়া পাব।
সিনেমাটি ডিজিটালে রূপান্তরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নির্মাতা জাহিদ হোসেনও। তিনি বলেন, সে সময় ৩৫ মি.মি. কোডাক নেগেটিভে শুট করেছিলাম মান্নার এই ছবি। বর্তমান সময়ে তা সিনেমা হলে প্রদর্শনের উপযুক্ত নয়। সেই কারণেই ওই নেগেটিভকে ডিজিটালে কনভার্ট করা হচ্ছে।
জানা গেছে, এরই মধ্যে সিনেমাটি সেন্সর বোর্ডের আনকাট ছাড়পত্রও পেয়েছে। ফলে ‘জীবন যন্ত্রণা’ মুক্তিতে কোনো বাধা নেই।
প্রসঙ্গত, একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে যৌনপল্লীগুলোর পরিস্থিতি, যৌনকর্মীদের ভেতরকার দ্বন্দ্ব, স্বাধীনতার সময়ে কারা মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে বা বিপক্ষে ছিল—এমন বিষয়গুলো ফুটিয়ে তোলা হয়েছে ‘জীবন যন্ত্রণা’ সিনেমায়। এতে মান্না ছাড়াও অভিনয় করেছেন মৌসুমী, পপি, মিশা সওদাগর, শাহনূর, মুক্তি, দীঘি, বাপ্পারাজ, আলীরাজ, আনোয়ারা, শহিদুল আলম সাচ্চু প্রমুখ।
প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও জনপ্রিয় সাইট থেকে হুবহু কপি করা। তাই দায়ভার মুল পাবলিশারের। এরপরও কোন অভিযোগ বা ভিন্নমত থাকলে আমাদেরকে জানান আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব সমাধান করে নিতে। |