প্রচ্ছদ জাতীয় অবশেষে প্রকাশ্যে এলেন নাহিদ সুলতানা যুথি

অবশেষে প্রকাশ্যে এলেন নাহিদ সুলতানা যুথি

অবশেষে প্রকাশ্যে আসলেন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনের স্বতন্ত্র সম্পাদক প্রার্থী অ্যাডভোকেট নাহিদ সুলতানা যুথি। গত ৮ মার্চ রাতে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির ২০২৪-২৫ সালের নির্বাচনে ভোট গণনাকে কেন্দ্র করে হট্টগোল, হাতাহাতি ও মারামারির ঘটনায় রাজধানীর শাহবাগ থানায় স্বতন্ত্র সম্পাদক প্রার্থী অ্যাডভোকেট নাহিদ সুলতানা যুথি, বিএনপির প্যানেলের সম্পাদক প্রার্থী ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজলসহ ২০ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়।

এরপর থেকেই অনেকটা লোক চক্ষুর অন্তরালে ছিলেন নাহিদ সুলতানা যুথি। আইনজীবী হিসেবে ব্যক্তিগত কাজেও আদালত পারায় দেখা যায় নি তাকে। আজ বুধবার (২০ মার্চ) বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমান ও বিচারপতি এস এম মাসুদ হোসেন দোলনের হাইকোর্ট বেঞ্চে আগাম জামিন নিতে হাইকোর্টে আসেন তিনি।

জামিন শুনানিতে যুথিকে উদ্দেশ্য করে হাইকোর্ট বলেন, আদালত খুবই স্পর্শকাতর জায়গা। আজ আপনি ক্ষমতায় আছেন বলে ক্ষমতা দেখাবেন, কিন্তু কাল তা নাও থাকতে পারে। তখন কোথায় যাবেন? তখন এই সুপ্রিম কোর্টেই আসতে হবে।

হাইকোর্ট আরও বলেন, আপনারা বিবেকবান মানুষ। আপনাদের কাছে প্রত্যাশা ছিল, এই প্রতিষ্ঠান ছোট হবে না। কিন্তু বারে মারামারি ঘটনা অপ্রত্যাশিত। সারাদেশের মানুষ এসব দেখে। সুপ্রিম কোর্ট একটি সংবেদনশীল প্রতিষ্ঠান, এর গৌরব আমরা বিচারক আইনজীবী সবাই বহন করি। এসব বিষয় আপনারা মাথায় রাখবেন।

এ সময় আদালতে যুথিসহ আসামিদের পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী এম কে রহমান, অ্যাডভোকেট শেখ আওসাফুর রহমান বুলু। সঙ্গে ছিলেন অ্যাডভোকেট আহসানুল করিম। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কে এম মাসুদ রুমি।

পরে শুনানি শেষে অ্যাডভোকেট নাহিদ সুলতানা যুথিকে আট সপ্তাহের আগাম জামিন দেন হাইকোর্ট। সেই সঙ্গে এ মামলার আসামি অ্যাডভোকেট শাকিলা রৌশন, ব্যারিস্টার চৌধুরী মৌসুমী ফাতেমা (কবিতা) ও বরখাস্ত হওয়া সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ জাকির হোসেন মাসুদকেও আগাম জামিন দেন আদালত।

জামিন নিয়ে আদালত থেকে বের হয়ে যাবার সময় গণমাধ্যমের সঙ্গে কোন কথা বলেননি নাহিদ সুলতানা যুথি।

সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সহিংসতার অভিযোগে করা মামলার অন্য আসামিরা হলেন- অ্যাডভোকেট মো. জাকির হোসেন ওরফে মাসুদ (৫৫), অ্যাডভোকেট শাকিলা রৌশন, অ্যাডভোকেট কাজী বশির আহম্মেদ, ব্যারিস্টার উসমান, অ্যাডভোকেট আরিফ, অ্যাডভোকেট সুমন, অ্যাডভোকেট তুষার, রবিউল, ব্যারিস্টার চৌধুরী মৌসুমী ফাতেমা (কবিতা), সাইদুর রহমান জুয়েল (৪০), অলিউর, যুবলীগ নেতা জয়দেব নন্দী, মাইন উদ্দিন রানা, মশিউর রহমান সুমন, কামাল হোসেন, আসলাম রাইয়ান, অ্যাডভোকেট তরিকুল ও অ্যাডভোকেট সোহাগ। এ ছাড়া মামলায় ৩০/৪০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে

প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও জনপ্রিয় সাইট থেকে হুবহু কপি করা। তাই দায়ভার মুল পাবলিশারের। এরপরও কোন অভিযোগ বা ভিন্নমত থাকলে আমাদেরকে জানান আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব সমাধান করে নিতে।