
হেড লাইন: গোপালগঞ্জে পারিবারিক কলহের জের ধরে শ্বশুর বাদশা গাজীকে (৬৫) কুপিয়ে দেহ থেকে মাথা বিচ্ছিন্ন করে হত্যা করেছে মুরাদ আলী। এ ঘটনায় জামাইকে আটক করে স্থানীয়রা। পরে পুলিশ গ্রেপ্তার করে। শুক্রবার (৫ এপ্রিল) বিকেলে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার জালালাবাদ ইউনিয়নের চর ধলইতলা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। গোপালগঞ্জ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আনিচুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
নিহত শ্বশুর বাদশা গাজীর বাড়ী গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার জালালাবাদ ইউনিয়নের চর ধলইতলা গ্রামে আর ঘাতক জামাই মুরাদ আলীর বাড়ী পার্শ্ববতী নড়াইল জেলায়। ওসি মো. আনিচুর রহমান জানান, বাদশা গাজীর মেয়ে তানিয়া বেগম ধলইতলা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চাকরি করেন। স্ত্রীর চাকরির সুবাদে জামাই মুরাদ আলী শ্বশুর বাড়িতেই থাকতো। গতকাল বৃহস্পতিবার জামাই মুরাদ আলী তার দুই সন্তানকে নিয়ে গ্রামের বাড়ি নড়াইলে যায়।
শুক্রবার (৫ এপ্রিল) দুপুরে সে নড়াইলের বাড়ি থেকে সন্তানদেরকে নিয়ে শ্বশুর বাড়িতে আসে। এর এক পর্যায়ে ঘরে থাকা বটি দিয়ে শ্বশুরকে ঘুমন্ত অবস্থায় কোপাতে থাকে। পরে কোপ দিয়ে দেহ থেকে মাথা আলাদা করলে ঘটনাস্থলেই শ্বশুর বাদশা গাজী নিহত হন।
পরে বিষয়টি টের পেয়ে এলাকাবাসী ঘাতক জামাই মুরাদ আলীকে ধরে বেঁধে রাখে। এরপর খবর পেয়ে পুলিশ ঘাতম জামাইকে গ্রেপ্তার করে ও মরদেহ উদ্ধার করে গোপালগঞ্জ ২৫ শয্যাবিশিষ্ট জেনালের হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে। এ ঘটনার খবর শুনে পুলিশের উর্দ্ধতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। নিহতের মেয়ে ধলইতলা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তানিয়া বেগম জানান, ঘাতক স্বামী মুরাদ আলী সৌদি আরব চাকরি শেষে বছর খানেক আগে বাড়িতে আসে। বেশ কিছুদিন ধরে তাকে যাদু টোনা করা হয়েছে এমন অভিযোগে তার শ্বশুর বাড়ির লোকজনকে দোষারোপ করে আসছিল। যে কারণে সে অতিসম্প্রতি অস্বাভাবিক আচরণ করে আসছিল।