
সমাজে সবসময়ই আলোচনায় আসে নারী নির্যাতনের খবর। তবে জগৎ সংসারে কি শুধুই নারী তাদের স্বামীর দ্বারা নির্যাতিত হচ্ছেন? পুরুষ কি নারীর দ্বারা নির্যাতিত হন না? বিভিন্ন মামলার পর্যালোচনা আর বর্তমান প্রেক্ষাপট বলছে, সমাজের অনেক পুরুষ তাদের নিজ ঘরে প্রতিনিয়ত নির্যাতিত হচ্ছেন।
চক্ষুলজ্জা আর পরিবারের কথা চিন্তা করে দিনের পর দিন বউয়ের এসব নির্যাতন-নিপীড়ন আর হুমকি-ধমকি নীরবে সহ্য করে যাচ্ছেন। পুরুষ অধিকার নিয়ে কাজ করা বিভিন্ন সংগঠন বলছে, সমাজে অনেক পুরুষই স্ত্রীর যন্ত্রণায় নীরবে কাঁদেন। লোকচক্ষুর আড়ালে গিয়ে চোখ মোছেন; কিন্তু দেখার কেউ নেই। বলারও উপায় নেই।
সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পুরুষ নির্যাতনের একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। ভাইরাল সেই ভিডিওতে দেখা যায় যে, মুকসুদপুর গুচ্ছগ্রামের মনিরা বেগম তার স্বামী আজাদ ইসলামকে কয়েকদিন ধরে শিকল বন্দি করে রেখেছেন। কারণ হিসেবে জানা যায়, মনিরা বেগমের ১ বছরের বিবাহিত সংসার। গত বছর ১৫ নভেম্বর তারা আলোচনার মাধ্যমে বিয়ে করে।
বিয়ের পর থেকেই মনিরা বেগম জানতে পারেন তাহার স্বামীর আরও একজন স্ত্রী আছেন। সেই স্ত্রীর আবার একজন ছেলে সন্তানও আছেন। আজাদ ইসলাম কয়েকদিন পর পর আগের স্ত্রীর কাছে যান। আর তাহার সন্তানের খোঁজ খবর রাখেন। মনিরা বেগমের কাছে টকা নেন আর আগের সংসারে তা খরচ করেন।
এতে করে মনিরা বেগম এসব মানতে না পেরে স্বামীকে গত কয়েকদিন ধরে শিকল বন্দি করে রেখেছেন। মনিরা বেগম আরও বলেন যে, উনি আমার তেমন কোনো খোঁজ খবর রাখেন না। আমার খরচখালাও ঠিক করে দেন না। এজন্য যাতে করে পালিয়ে যেতে না পারে তাই শিকল দিয়ে বেঁধে ঘরে বন্দি করে রেখেছি।
এদিকে শিকল বন্দি স্বামীর সাথে কথা বলে জানা যায়, তিনি তাহার আগের স্ত্রীর সাথে কোনো যোগাযোগ রাখেন না। শুধু সন্তানের ভরনপোষণ দিয়ে আসছেন। মনিরা বেগম যে সব অভিযোগ করেছেন তা মিথ্যা বলে দাবি করেছেন।