প্রচ্ছদ সারাদেশ হাটের ছাউনি ভেঙে ইট-টিন খুলে নিলেন দুই আ’লীগ নেতা

হাটের ছাউনি ভেঙে ইট-টিন খুলে নিলেন দুই আ’লীগ নেতা

দেশজুড়ে: বগুড়ার শাজাহানপুরে হাটের ছাউনি এবং রাস্তা ভেঙে ইট ও ঢেউটিন নিয়ে গেছেন দুই আওয়ামী লীগ নেতা। রোববার বিষয়টি জানাজানি হলে সমালোচনা শুরু হয়। উপজেলার আড়িয়া ইউনিয়নের জামুন্না হাটে এ ঘটনা ঘটে।

এ ব্যাপারে অভিযোগ উঠেছে আড়িয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি খোরশেদ আলম ও ইউপি সদস্য স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা জাহিদুর রহমানের বিরুদ্ধে।

সরকারের হাটবাজার উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় বেশ কয়েক বছর আগে জামুন্না হাটে চারটি ছাউনি নির্মাণ করা হয়। সপ্তাহে দুই দিন হাটবারে ব্যবসায়ীরা ছাউনিগুলোতে বসে পণ্য বিক্রি করেন। সম্প্রতি নতুন করে হাটবাজার উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় জামুন্না হাটে ভবন নির্মাণের উদ্যোগ নেয় উপজেলা প্রকৌশল অধিদপ্তর। এ জন্য পুরোনো ছাউনিগুলো ভেঙে ইট ও টিন আলাদা করে হাট প্রাঙ্গণে রাখতে ইউনিয়ন চেয়ারম্যানকে নির্দেশনা দেওয়া হয়। তবে শনিবার খোরশেদ আলম ও জাহিদুর রহমান লোকজন দিয়ে হাটের ছাউনি ও সোলিং করা রাস্তা ভেঙে প্রায় ৩৫ হাজার ইট ও কয়েক বান্ডেল টিন বাড়িতে নিয়ে যান।

আড়িয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আতিকুর রহমান বলেন, উপজেলা প্রশাসনের নির্দেশে ইউপি সদস্য জাহিদুরকে ছাউনি ভেঙে ইট ও ঢেউটিন হাটে রাখতে বলা হয়েছিল। কেন সেগুলো বাড়ি নিয়ে গেছেন জানি না। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। গ্রাম পুলিশ দিয়ে ইট ও টিন উদ্ধারে চেষ্টা চলছে।

ইউপি সদস্য জাহিদুল ইসলাম বলেন, উপজেলা প্রকৌশলীর নির্দেশে ছাউনি ও সোলিং ভেঙে ২০ হাজার ইট ও কয়েক বান্ডেল টিন বিক্রি করা হয়েছে। সেগুলো বিক্রির সাড়ে ৪ হাজার টাকা দিয়ে ছাউনি ভাঙায় কাজ করা শ্রমিকদের মজুরি পরিশোধ করা হয়। খোরশেদ আলম অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘বাড়ির আঙিনায় রাখা হাটের সরকারি ইট আমি নিয়ে আসিনি। ইউপি সদস্য জাহিদুল ইটগুলো পাঠিয়েছেন।’

উপজেলা প্রকৌশলী ফারুক হোসেন বলেন, উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় জামুন্না হাটের নতুন ভবন নির্মাণ করা হবে। এ জন্য ইউপি চেয়ারম্যানকে ছাউনি ভেঙে ইট-টিন রেখে দিতে বলা হয়েছিল। কাউকে কিছু বিক্রির অনুমতি দেওয়া হয়নি।

শাজাহানপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাহমিদা আক্তার বলেন, হাটের ইট-টিন যারা খুলে নিয়ে গেছেন তাদের তলব করা হয়েছে। দ্রুত জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।