প্রচ্ছদ আর্ন্তজাতিক বিশ্বযুদ্ধ শুরু হলে যে সব দেশ নিরাপদ, বাংলাদেশ কি নিরাপদ

বিশ্বযুদ্ধ শুরু হলে যে সব দেশ নিরাপদ, বাংলাদেশ কি নিরাপদ

বিশ্ব রাজনীতির উত্তপ্ত পরিস্থিতি এবং প্রতিপক্ষ দেশের পরমাণু সক্ষমতা দেখে বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা করছেন, যেকোনো মুহূর্তে শুরু হতে পারে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ। বিশেষ করে ইরান-ইসরায়েল সংঘাত এবং যুক্তরাষ্ট্রের হস্তক্ষেপে সেই সম্ভাবনা আরও ঘনীভূত হয়েছে।

যদিও বর্তমানে যুদ্ধবিরতির মাধ্যমে উত্তেজনা কিছুটা শান্ত হয়েছে, তবু বিশ্বজুড়ে উদ্বেগ কাটেনি। এমন পরিস্থিতিতে অনেকেই ভাবছেন—বিশ্বযুদ্ধ শুরু হলে কোথায় গেলে মিলতে পারে নিরাপত্তা?

আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকরা বেশ কয়েকটি দেশকে সম্ভাব্য ‘নিরাপদ আশ্রয়স্থল’ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন, যেগুলো ভূগোল, নিরপেক্ষ পররাষ্ট্রনীতি ও সামরিকভাবে অপ্রাসঙ্গিক থাকার কারণে তুলনামূলকভাবে নিরাপদ।

যদি তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হয়, তবে বাংলাদেশ একটি ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থানে থাকবে। ভৌগলিকভাবে, বাংলাদেশ একটি ছোট দেশ এবং এর চারপাশের দেশগুলোর সাথে সম্পর্ক জটিল। তাই, যুদ্ধ শুরু হলে বাংলাদেশ সরাসরি যুদ্ধের শিকার না হলেও, এর প্রভাব থেকে নিরাপদ থাকা কঠিন হবে। তবে, কিছু দেশ আছে যারা ভৌগলিক অবস্থান, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা এবং প্রাকৃতিক সম্পদের কারণে তুলনামূলকভাবে নিরাপদ থাকতে পারে।

নিরাপদ সেই ১২টি দেশ হলো

1. অন্টার্কটিকা– বিশ্বের সভ্যতা থেকে বহু দূরে, জনশূন্য বরফে ঘেরা মহাদেশ। যুদ্ধের নাগালের বাইরে হলেও পরিবেশ অত্যন্ত প্রতিকূল।

2. আইসল্যান্ড – শান্তিপূর্ণ দেশের তালিকায় শীর্ষে। কোন সামরিক জোটে নেই, কোনো যুদ্ধেও অংশ নেয়নি। ইউরোপের কেন্দ্র থেকে অনেক দূরে অবস্থান করে।

3. নিউজিল্যান্ড– নিরপেক্ষ পররাষ্ট্রনীতি, প্রাকৃতিকভাবে পাহাড়-পর্বতে ঘেরা। যুদ্ধের লক্ষ্য হওয়ার সম্ভাবনা অত্যন্ত কম।

4. সুইজারল্যান্ড – ঐতিহাসিকভাবে নিরপেক্ষ। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধেও নিরপেক্ষ ছিল। রয়েছে বিস্তৃত পারমাণবিক আশ্রয়কেন্দ্র।

5. গ্রীনল্যান্ড– জনসংখ্যা কম, অবস্থান বিচ্ছিন্ন। সামরিক দৃষ্টিকোণ থেকে গুরুত্বহীন হওয়ায় নিরাপদ গন্তব্য হতে পারে।

6. ইন্দোনেশিয়া – নিরপেক্ষ ও যুদ্ধবিরোধী নীতির জন্য তুলনামূলক নিরাপদ। দ্বীপরাষ্ট্র হওয়ায় অনেক অঞ্চল বিচ্ছিন্নভাবে টিকে থাকতে পারে।

7. টুয়ালু – ছোট, অনগ্রসর দ্বীপরাষ্ট্র। জনসংখ্যা মাত্র ১১ হাজার। কৌশলগত গুরুত্বহীন হওয়ায় আক্রমণের সম্ভাবনা কম।

8. আর্জেন্টিনা – খাদ্য, পানি ও প্রাকৃতিক সম্পদে স্বনির্ভর। রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ও সামরিক নিরপেক্ষতা দেশটিকে টিকে থাকার সক্ষমতা দিচ্ছে।

9. ভুটান – ১৯৭১ সাল থেকে নিরপেক্ষ। হিমালয়ের কোলে ছোট রাষ্ট্র হওয়ায় নজর এড়াতে পারে যুদ্ধকালীন সময়।

10. চিলি – ভৌগোলিক বৈচিত্র্যপূর্ণ। উত্তরাংশে মরুভূমি, দক্ষিণে হিমবাহ। প্রাকৃতিক সম্পদে সমৃদ্ধ। ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে যুদ্ধের প্রভাব থেকে মুক্ত থাকার সম্ভাবনা বেশি।

11. ফিজি – প্রশান্ত মহাসাগরের মাঝখানে বিচ্ছিন্ন শান্ত দ্বীপ। গ্লোবাল পিস ইনডেক্সে শান্তিপূর্ণ দেশের তালিকায় শীর্ষে।

12. দক্ষিণ আফ্রিকা – উন্নত অবকাঠামো, উর্বর জমি ও প্রাকৃতিক সম্পদের কারণে আত্মনির্ভরতা গড়ে তোলার উপযুক্ত পরিবেশ রয়েছে।