
সাভারে যৌতুকের টাকা না পেয়ে পুত্রবধূকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে শ্বশুরের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় স্থানীয়রা অভিযুক্ত শ্বশুরকে আটকের পর গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছেন।
শনিবার দুপুরে সাভারের তেঁতুলঝোড়া এলাকার সোলেমান মিয়ার দোতালা বাড়ির একটি কক্ষ থেকে নিহত গৃহবধূ লতা আক্তারের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। পরে পুলিশ মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
পুলিশ ও নিহতের পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, এক বছর আগে সেলিম মিয়ার সঙ্গে লতার বিয়ে হয়। বিয়ের পর তারা সোলেমান মিয়ার দোতলা বাড়ির একটি কক্ষ ভাড়া নিয়ে বসবাস শুরু করেন। একই বাড়ির নিচ তলার আরেকটি কক্ষে সেলিমের মা বাবা ভাড়া থাকেন। পাশেই নিহত লতার বাবা-মাও বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস করে আসছেন।
এ দিকে বিয়ের পর থেকে মাঝে মধ্যেই স্বামী সেলিম ও শ্বশুর মাসুদ মিয়া যৌতুকের জন্য লতাকে চাপ দিয়ে আসছিলেন। একপর্যায়ে যৌতুকের টাকা না পেয়ে শ্বশুর মাসুদ মিয়া পুত্রবধূ লতাকে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ করেন নিহতের বাবা-মা।
শনিবার দুপুরে প্রতিবেশীরা জানালা দিয়ে ঘরে লতার ক্ষতবিক্ষত লাশ দেখে তার বাবা ও মা-কে খবর দেন। তারা এসে বিবস্ত্র অবস্থায় মেয়ের লাশ মেঝেতে পড়ে থাকতে দেখেন। পরে স্থানীয়রা সাভার মডেল থানা-পুলিশকে খবর দেন। খবর পেয়ে পুলিশ নিহতের মরদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়।
নিহত লতার বাবা আব্দুস সালাম বলেন, ‘মাসুদ মেয়েকে ধর্ষণের পরে হত্যা করেছেন। মেয়ে লতার স্বামী সেলিম পলাতক। আমি সেলিম ও মাসুদের বিচার চাই।’
সাভার মডেল থানার ট্যানারি পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সিরাজুল ইসলাম সবুজ বলেন, নিহত গৃহবধূর বিবস্ত্র মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তবে তাকে ধর্ষণ করা হয়েছে কিনা সেটা ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পরই নিশ্চিত হওয়া যাবে। ধারনা করা হচ্ছে, শুক্রবার মধ্য রাতের যে কোনো সময় তাকে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের শ্বশুরকে আটক করা হয়েছে। ঘটনার দিন সেলিম ও তার মা বাসায় ছিলেন না। তারা ঠাকুরগাঁওয়ে গিয়েছেন বলে জানা গেছে।
সূত্র: সমকাল