
অন্তবর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস পদত্যাগ করার কথা ভাবছেন- দুইদিন ধরে এমন গুঞ্জন চলছে। হঠাৎ করে বিষয়টি সামনে আসায় এ সরকারের ভবিষ্যৎ নিয়ে অনিশ্চয়তার সৃষ্টি হয়েছে। দেশের সর্বোস্তরের নাগরিকদের মাঝেও এক ধরনের উদ্বিগ্নতা কাজ করছে এবং অনেকেই ড. ইউনূসকে স্বপদে বহাল চেয়ে বিভিন্ন মাধ্যমে দাবি জানাচ্ছেন।
এদিকে, আজ শুক্রবার (২৩ মে) বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন আহমেদ একটি বেসরকারি টেলিভিশনকে বলেন, ড. ইউনূস পদত্যাগ করতে চাওয়াটা তার ব্যক্তিগত বিষয়। তবে বিএনপি তার পদত্যাগ দাবি করেনি। তিনি আরও বলেন, নির্বাচনী রোডম্যাপ ঘোষণা করার পরিবর্তে যদি তিনি পদত্যাগ করতে চান বা দায়িত্ব ছেড়ে দিতে চান সেটি তার ব্যক্তিগত বিষয় হতে পারে। আমরা ওনার পদত্যাগ দাবি করিনি। আর একান্তই যদি উনি ব্যক্তিগতভাবে দায়িত্ব পালনে অপারগ হন, তাহলে রাষ্ট্র তো বসে থাকবে না। রাষ্ট্র একটা বিকল্প ব্যবস্থা খুঁজে নেবে।
অন্যদিকে, এ বিএনপি নেতার এমন মন্তব্যের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন জাতীয় যুবশক্তির আহ্বায়ক ও ন্যাশনাল সিটিজেন পার্টির নেতা অ্যাডভোকেট তারিকুল ইসলাম। আজ রাতে তিনি তার ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে এক পোস্টের মাধ্যমে এ প্রতিক্রিয়া জানান।
তিনি ফেসবুকে লেখেন, শেখ হাসিনার নিয়োগকৃত রাষ্ট্রপতি চুপ্পুকে অপসারণ করলে সমস্যা। কিন্তু ড. মুহাম্মদ ইউনূস পদত্যাগ করলে সমস্যা নেই, তার বিকল্প খুঁজে পাওয়া যাবে। এই হলো জুলাই গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী বিএনপি।