
হেড লাইন: ৫ই মে—বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে একটি উল্লেখযোগ্য ও বেদনাবিধুর দিন। এ দিনটিকে কেন্দ্র করে বহু মানুষ এখনো তাদের হৃদয়ের গভীরে ক্ষোভ ও প্রশ্ন বয়ে বেড়াচ্ছেন। সম্প্রতি জনপ্রিয় প্রবাসী সাংবাদিক ইলিয়াস হোসেন সম্প্রতি তার ব্যক্তিগত ফেসবুক টাইমলাইনে লিখেছেন
“অনেকেই জানতে চেয়েছেন, আমি কেন ৫ই মে নিয়ে কোনো স্পেশাল ভিডিও করিনি। করে কি হবে? যাদের ডাকে শাপলা চত্বর গিয়ে এতিম বাচ্চাগুলো মারা গিয়েছিল, তারা কি আজও এর বিচার চায়?” তার অভিযোগ, ঘটনার পরদিনই সংশ্লিষ্ট কয়েকজন আলেম গণভবনে গিয়েছিলেন এবং সেখানে ‘আনন্দ’ উপভোগ করেছেন বলে দাবি করেন তিনি।
এছাড়াও তিনি বলেন, “এরপর থেকে আজ পর্যন্ত কোনো আলেম সংগঠন ৫ই মে’র ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত বা বিচার চাওয়ার কোনো কর্মসূচি পালন করেনি। উল্টো কেউ কেউ রাষ্ট্রপ্রধানকে ‘কওমী জননী’ উপাধি দিয়েছেন।” সবচেয়ে হতাশাজনক দিক হিসেবে তিনি উল্লেখ করেন, এই সময়ের মধ্যে নিহত শিশুদের একটি পূর্ণাঙ্গ তালিকা পর্যন্ত প্রকাশ করা হয়নি।
শেষে তিনি বলেন, “তাহলে আমরা এতো লাফালাফি করে লাভ কি? আস্তে আস্তে স্রোতের সাথে চলতে শিখছি।” এই বক্তব্য সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক আলোড়ন তুলেছে। অনেকেই তার সঙ্গে সহমত প্রকাশ করছেন, আবার কেউ কেউ ব্যতিক্রমী মতও দিচ্ছেন। ৫ই মে’র মতো ঘটনাগুলোর দায়-দায়িত্ব, বিচার ও স্মৃতি রক্ষায় রাষ্ট্র ও সমাজের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।