
গত কয়েকদিনের বৃষ্টিতে তাপমাত্রার দাপট কমে জনমনে কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে। সঙ্গে তীব্র গরমের অনুভূতিও অনেকটাই কমেছিল। তবে এই অবস্থার মধ্যেই নতুন করে দুঃসংবাদ দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। আগামী কয়েকদিন টানা রাত ও দিনের তাপমাত্রা বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি। যদিও এই সময়েও দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
আবহাওয়াবিদ হাফিজুর রহমান জানিয়েছেন, লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকা পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। সেই সঙ্গে মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে।
এই অবস্থায় রোববার (২০ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বিদ্যুৎ চমকানো বা বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। তবে এই সময়ে রাত ও দিনের তাপমাত্রা বাড়তে পারে।
পরদিন সোমবার (২১ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বিদ্যুৎ চমকানো বা বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। পাশাপাশি এই সময়েও সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা কিছুটা বাড়তে পারে।
এদিকে মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত দেয়া আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, এই সময়ে সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বিদ্যুৎ চমকানো বা বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। তবে এই সময়ে সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা কিছুটা বাড়লেও রাতের তাপমাত্রা ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বাড়তে পারে।
অন্যদিকে বুধবার (২৩ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বিদ্যুৎ চমকানো বা বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। পাশাপাশি এই সময়েও সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা কিছুটা বাড়তে পারে।
এছাড়া বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত সিলেট বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বিদ্যুৎ চমকানো বা বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। আর এই সময়ে সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
শনিবার সন্ধ্যায় হাতিয়ায় দেশের সর্বোচ্চ ৭৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। সেই সঙ্গে এই সময়ে কক্সবাজারে ৪০ মিলিমিটার ছাড়াও ভোলায় ৩২, মোংলায় ১৬, রাঙামাটিতে ১৫, চট্টগ্রামে ১২ মিলিমিটারসহ ঢাকা, ফরিদপুর, গোপালগঞ্জ, সিলেট, কুমিল্লা, চাঁদপুর, মাইজদীকোর্ট ও টেকনাফের পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বৃষ্টি ঝরেছে। এই অবস্থায় বর্ধিত ৫ দিনে তাপমাত্রা আরও বাড়তে পারে বলেও পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।