
রমজান মাসজুড়ে বাজার ছিল তুলনামূলকভাবে স্থিতিশীল। কিন্তু ঈদ শেষ না হতেই আবারো অস্থির হয়ে উঠেছে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বাজার, বিশেষ করে পেঁয়াজ ও সয়াবিন তেলের ক্ষেত্রে। রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় হঠাৎ করেই বেড়ে গেছে পেঁয়াজের দাম। কিছুদিন আগেও যে পেঁয়াজ ৪০ থেকে ৪৫ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছিল, এখন তা কিনতে হচ্ছে ৫০ থেকে ৬৫ টাকা দরে। একইভাবে বেড়েছে সয়াবিন তেলের দামও। বোতলজাত সয়াবিন তেলের প্রতি লিটারের দাম ১৪ টাকা বেড়ে ১৮৯ টাকায় পৌঁছেছে।
বাজার পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে, দেশীয় পেঁয়াজের পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকার কথা থাকলেও বাস্তবচিত্র সম্পূর্ণ ভিন্ন। ব্যবসায়ীদের দাবি, ফরিদপুর থেকে ঢাকাসহ আশপাশের অঞ্চলে পেঁয়াজের সরবরাহ কমিয়ে দেওয়ায় পাইকারি বাজারে দাম বেড়েছে ১০ থেকে ১৫ টাকা পর্যন্ত। গত সপ্তাহেও যেখানে ভালো মানের পেঁয়াজ ৪৫ টাকায় বিক্রি হতো, এখন সেটি বেড়ে ৬৫ টাকা পর্যন্ত উঠেছে। খুচরা ব্যবসায়ীরা জানাচ্ছেন, এবার পেঁয়াজের মান ও ফলন ভালো হওয়ায় এগুলো দীর্ঘদিন সংরক্ষণ করা সম্ভব। আর সেই সুযোগটাই কাজে লাগিয়ে পাইকারি মোকাম ও আড়তগুলো মজুদের দিকে ঝুঁকছে, যার ফলে বাজারে কৃত্রিম সংকট তৈরি হচ্ছে এবং দামও বাড়ছে।
এদিকে সয়াবিন তেলের বাজারেও চাপ বাড়ছে। বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারারস অ্যাসোসিয়েশন ১৩ এপ্রিল এক বিজ্ঞপ্তিতে তেলের নতুন দাম নির্ধারণ করে। এরপর থেকেই এক লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৮৯ টাকা। পাঁচ লিটারের বোতলের দাম এখন ৯২২ টাকা, যা আগে ছিল ৮৫২ টাকা। খোলা সয়াবিন ও পাম তেলের দামও কিছুটা বেড়েছে। খুচরা বিক্রেতারা বলছেন, বাজারে তেল ও পেঁয়াজ মজুদ করে দাম বাড়ানোর প্রবণতা দিন দিন বেড়েই চলেছে। এ অবস্থায় তারা প্রশাসনের কাছে নিয়মিত বাজার মনিটরিং এবং কার্যকর নজরদারির দাবি জানিয়েছেন।