প্রচ্ছদ অপরাধ ও বিচার জানা গেল মাফিয়া তাপসের অবস্থান, জানালেন ডিবি হারুন!

জানা গেল মাফিয়া তাপসের অবস্থান, জানালেন ডিবি হারুন!

২৪ এর গণঅভ্যুত্থানে ফ্যাসিস্ট হাসিনা দেশ ছেড়ে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার পর থেকেই আলোচনায় আওয়ামী লীগের পুনর্গঠনের বিষয়টি। স্বৈরাচার হাসিনার দল আওয়ামী লীগকে আমজনতা না মনে নিলেও ওরা যেনো উঠেপড়ে লেগেছে দল গোছাতে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ইতিমধ্যে গুঞ্জন চলছে পুনর্গঠিত আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে থাকবেন ঢাকা দক্ষিণ সিটির সাবেক মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস। যদিও এরইমধ্যে তার বিরুদ্ধে হাজার হাজার কোটি টাকার অবৈধ লেনদেন, অর্থ আত্মসাৎ এর অভিযোগসহ বেশ কিছু অভিযোগে তদন্ত করছে দুদক। এসবের মধ্যেই এবার ফ্যাসিস্ট হাসিনার এই দোসরের সন্ধান মিলেছে। তার অবস্থান সম্পর্কে মুখ খুলেছেন হাসিনার আরেক দোসর সাবেক ডিবি প্রধান হারুন।

ভাতের হোটেলের মালিকখ্যাত হারুনের একটি কলরেকর্ড প্রকাশ করেছে কানাডার নাগরিক টেলিভিশনের বার্তা প্রধান নাজমুস সাকিব তার প্রতিবেদনে। যেখানে হারুনকে স্পষ্টভাবে বলতে শোনা যায় তাপসের অবস্থান সম্পর্কে। হারুনের দেওয়া তথ্যমতে বর্তমানে সিঙ্গাপুরে অবস্থান করছেন তাপস। স্বৈরাচার হাসিনা গত বছরের ৫ আগষ্ট চোরের মত লেজ গুটিয়ে ভারতে পালিয়ে গেলে, পালিয়ে যায় তার দলের অনেক প্রভাবশালী নেতারাও, যদিও সবাই পালাতে পারেনি কেউ কেউ গ্রেফতার হয়ে জেলের ভাত খাচ্ছেন বর্তমানে। ভাগ্যক্রমে এই কাতারে পরতে হয়নি তাপসকে। জানা যায় সুযোগ বুঝে পরিস্থিতি অনুধাবন করে হাসিনা পালানোর দুদিন আগে ৩ আগষ্ট সিঙ্গাপুরে পালিয়ে যান তাপস। এখনো ভিসা ছাড়া সেখানেই অবস্থান করছেন তিনি।

তাপসের বিরুদ্ধে অভিযোগের যেনো শেষ নেই, পিলখানা হত্যাকান্ডে সরসরি জড়িতে ছিলেন ফ্যাসিস্ট হাসিনার এই দোসর, এমন অভিযোগই করেছেন পিলখানা হত্যাযজ্ঞে নিহত মেজর শাকিলের ছেলে রাকিন আহমেদ। এছাড়া সবচেয়ে গুরুতর অপরাধ ২৪ এর ছাত্র আন্দোলনের সময় ছাত্র জনতার ওপর ঝাঁপিয়ে পড়তে দলীয় নেতাকর্মীদের সরাসরি নির্দেশ দেওয়াসহ তদারকি করেছেন তাপস। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে হত্যাচেষ্টা মামলারও আসামি তিনি।

২০২১ সালে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র ও আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সাঈদ খোকন দাবি করেছিলেন এই সিটির মেয়র থাকার যোগ্যতা নেই তাপসের। এসময় তিনি বলেন, ‘তাপস দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের শত শত কোটি টাকা তার নিজ মালিকানাধীন মধুমতি ব্যাংকে স্থানান্তরিত করেছেন। এই টাকা বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগ করার মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা লাভ করেছেন।’ এছাড়া একজন প্রধান বিচারপতিকে নামিয়ে দিয়েছিলেন বলে ২০২৩ সালে মন্তব্য করেছিলেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি’র মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস। সেসময় তার এই বক্তব্য ঘিরে তোলপাড় শুরু হয় দেশজুড়ে, শেষ পর্যন্ত আদালত পর্যন্ত গড়ায় বিষয়টি।