
বিশ্বব্যাপী টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট জনপ্রিয় করার পেছনে বড় ভূমিকা রাখছে ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগগুলোর জমজমাট আসর। এর মধ্যে অন্যতম ভারতের আইপিএল। যেখানে নিজের মেধার জানান দিয়ে ক্রিকেট বিশ্বে তারকা হয়ে উঠেছেন ভারতের তরুণ জয়সওয়াল।
আইপিএলের সদ্য সমাপ্ত আসরে রাজস্থান রয়্যালসের হয়ে ১৫৫ স্ট্রাইক রেটে একটি করে সেঞ্চুরি ও হাফ-সেঞ্চুরিতে করেছেন ৪৩৫ রান। এবার জাতীয় দলের হয়ে বিশ্ব-আসরে সে ফর্ম টেনে আনতে পারেন কি না, তা দেখার বিষয়।
স্পটলাইটে থাকা তরুণ ক্রিকেটারদের আরেকজন ভারতীয় বংশোদ্ভূত নিউজিল্যান্ডের রাচিন রবীন্দ্র। গেল বছর ওয়ানডে বিশ্বকাপে কিউইদের হয়ে ভারতে এসে চমক দেখিয়েছেন এই অলরাউন্ডার।
নজর কাড়া আরেক ক্রিকেটার উইল জ্যাকস। সদ্য শেষ হওয়া আইপিএলে ১৭৫ দশমিক ৫৭ স্ট্রাইক রেটে ব্যাট করেন এ অলরাউন্ডার। ইংল্যান্ডের হয়ে এখন পর্যন্ত ২০ ওভারের খেলায়, ১২ ম্যাচে ২১৮ রান করেছেন তিনি।
দক্ষিণ আফ্রিকার ট্রিস্ট্যান স্টাবস, দেশের হয়ে ১৭টি টি-টোয়েন্টিতে ১৫৫ স্ট্রাইক রেটে করেছেন ২৩৯ রান। আইপিএলও দারুণ ছন্দে ছিলেন প্রোটিয়া এই ব্যাটার। স্বাভাবিকভাবেই এই তরুণের প্রতি দৃষ্টি থাকবে ক্রিকেট বিশ্বের।
আর খেলার মাঠে যেন হার না মানার শপথ নিয়ে নামেন, যুদ্ধে বেড়ে উঠা আফগান ক্রিকেটাররা। চার-ছক্কার ক্রিকেট মাঠেও প্রকাশ পায় তাদের সে বৈশিষ্ট্য। প্রতিনিয়ত বিশ্বমানের ক্রিকেটার বের করে আনছে আফগান টিম। এবারের আসরেও দৃষ্টি থাকবে দলটির উপর। তাদের রহমানুল্লাহ গুরবাজ হয়ে উঠতে পারে আফগানদের সম্ভাব্য বিশ্বকাপ তারকা। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে এই উইকেটরক্ষক ব্যাটারের স্ট্রাইক ১৩৮।
পাওয়ার হিটারের অভাবে বরাবরই টি-টোয়েন্টিতে পিছিয়ে বাংলাদেশ। তবে লো-অর্ডারে এবার আশার আলো হয়ে উঠতে পারে রিশাদ হোসেনের ব্যাট। জাতীয় দলের এই ব্যাটারের গড় স্ট্রাইকে রেট যেখানে ১১০ এর আশেপাশে, সেখানে টি-টোয়েন্টিতে প্রায় ১৩৬ স্ট্রাইক রেটে রান তুলতে সক্ষম তিনি। বল হাতেও তার দিকে তাকিয়ে থাকবে বাংলাদেশ। তার মাধ্যমে ঘুচেছে জাতীয় দলের দীর্ঘ দিনের লেগ স্পিন খরাও।