প্রচ্ছদ রাজনীতি শুটার ফয়সালের আরও তিন সহযোগী শনাক্ত

শুটার ফয়সালের আরও তিন সহযোগী শনাক্ত

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদিকে গুলির ঘটনায় আরও তিনজনকে শনাক্ত করেছেন গোয়েন্দারা। হত্যাচেষ্টার মূল সন্দেহভাজন সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ফয়সাল করিম মাসুদের ঘনিষ্ঠ সহযোগী তারা। সন্দেহভাজনের মধ্যে আছেন কবির হোসেন ওরফে দাঁতভাঙা কবির। তিনি আদাবরে ১০০ নম্বর ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক। ৪ ডিসেম্বর ইনকিলাব কালচারাল সেন্টারে ফয়সাল, কবিরসহ তিনজন গিয়েছিলেন। সেখানকার সিসি ক্যামেরার ফুটেজে তাদের দেখা গেছে।

এদিকে গতকাল রাত সাড়ে ১১টার খুদে বার্তায় র‍্যাব জানায়, কবিরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। হাদিকে গুলির ঘটনায় এ পর্যন্ত সাতজনকে গ্রেপ্তার করা হলো। আরও কয়েকজনকে গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

উন্নত চিকিৎসার জন্য হাদিকে সিঙ্গাপুর নেওয়া হয়েছে। গতকাল তাঁকে বহনকারী এয়ার অ্যাম্বুলেন্স দুপুর ১টা ৫৮ মিনিটে হযরত শাহজালাল বিমানবন্দর ছেড়ে যায়। সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে তাঁকে নেওয়া হয়।

হাদিকে হত্যাচেষ্টায় অন্তত পাঁচজনের সংশ্লিষ্টতার তথ্য পাওয়ার কথা বলছেন তদন্ত-সংশ্লিষ্টরা। তবে হত্যাচেষ্টায় সরাসরি জড়িত কাউকে গ্রেপ্তার করা যায়নি। র‍্যাবের একটি সূত্র বলেছে, ফয়সালের অন্তত আরও দুই সহযোগী নজরদারিতে রয়েছেন। দ্রুত তাদের গ্রেপ্তারের ব্যাপারে আশাবাদী তারা। গ্রেপ্তার করা সম্ভব হলে এ ঘটনায় ব্যবহৃত অস্ত্র, অর্থ জোগানদাতা ও পরিকল্পনাকারীর ব্যাপারে আরও তথ্য বেরিয়ে আসতে পারে।

যদিও গোয়েন্দাদের ধারণা, এ ঘটনার প্রধান দুই সন্দেহভাজন ফয়সাল ও তাঁকে বহনকারী মোটরসাইকেলের চালক আলমগীর হোসেন ওরফে আলমগীর শেখ এরই মধ্যে ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট-ধোবাউড়া সীমান্ত দিয়ে ভারতে পালিয়ে গেছেন। ছক কষে পূর্ব পরিকল্পনার অংশ হিসেবে পালান তারা। ঘটনার পর প্রধান দুই অভিযুক্তের দেশ ছাড়ার খবর প্রকাশ হওয়ায় গোয়েন্দা ব্যর্থতার বিষয়টি সামনে আসছে। যদিও পুলিশের আনুষ্ঠানিক ভাষ্য, প্রধান দুই অভিযুক্তের দেশ ছাড়ার তথ্য তাদের কাছে নেই।

তদন্ত-সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, হাদি হত্যাচেষ্টায় রাজধানীর আদাবরকেন্দ্রিক একটি গ্রুপের সংশ্লিষ্টতা মিলেছে। তাদের অনেকে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ নেতা জাহাঙ্গীর কবির নানকের ঘনিষ্ঠ হিসেবে এলাকায় পরিচিত। শুটার ফয়সালের সহযোগী কবির হোসেন ও সঙ্গীরা নবোদয় হাউজিংয়ের একটি ক্লাবে আড্ডা দিতেন। গত বছরের ৫ আগস্ট সরকারের পতনের পর তাদের মধ্যে কেউ কেউ গা-ঢাকা দেন। কেউ আবার নতুন বেশ ধরে চলাফেরা করতেন। হাদিকে গুলি করার ঘটনায় জাকির হোসেন নামে এক সন্দেহভাজনকে খুঁজছেন গোয়েন্দারা।

তদন্ত-সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, হামলার ঘটনায় ৭ পয়েন্ট ৬৫ বোরের অস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে। এ ধরনের অস্ত্র বিদেশি হয়ে থাকে।

ফয়সালের বান্ধবী জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছেন, ঘটনার কদিন আগে ফয়সাল করিম বলেছিল, সে এমন কিছু ঘটাতে যাচ্ছে, যাতে সারাদেশ তোলপাড় হবে। তবে হাদির বিষয়ে কিছু বলেছে কিনা, সে বিষয়ে জানার চেষ্টা করছেন তদন্ত-সংশ্লিষ্টরা।

মামলার তদন্ত-সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র বলছে, কয়েক মাস আগে হাদিকে টার্গেট করেন তারা। সর্বশেষ জুলাইয়ের শেষদিকে মালায়েশিয়া ও সিঙ্গাপুর ঘুরে দেশে ফেরেন ফয়সাল করিম। এরপর ঢাকার আদাবরে থাকা পরিবার নরসিংদী শহরে শ্বশুরবাড়ির পাশে একটি বাসা ভাড়া করে রেখে আসেন। এরপর তিনি আগারগাঁও এলাকায় এক আত্মীয়ের বাসায় থাকা শুরু করেন।

তদন্ত সূত্রে জানা যায়, ঘটনার আগের রাতে ফয়সাল ও আলমগীরের জন্য সাভারের আশুলিয়ার একটি রিসোর্টে বিশেষ পার্টির ব্যবস্থা করা হয়। ওই দিন তাদের সঙ্গে রিসোর্টে ছিলেন ফয়সালের বান্ধবী মারিয়া। শুক্রবার সকালে তারা দুজন রিসোর্ট থেকে ঢাকায় আসেন।

ফিলিপকে খুঁজছে একাধিক সংস্থা
হাদিকে গুলির ঘটনায় সীমান্ত এলাকা থেকে মানুষ পারাপারকারী ফিলিপ স্নালের দুই সহযোগীকে আটক করেছে বিজিবি। শেরপুরের নালিতাবাড়ী সীমান্ত এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়। ময়মনসিংহ ব্যাটালিয়নের (৩৯ বিজিবি) বারোমারি বিওপির টহল দল দায়িত্বপূর্ণ এলাকা থেকে অবৈধভাবে মানুষ পারাপারে সহায়তাকারী ফিলিপের মামাশ্বশুর বেঞ্জামিন চিড়ান ও ফিলিপের ঘনিষ্ঠ বন্ধু সীশলকে ধরা হয়েছে। এর আগে ফিলিপের স্ত্রী ডেলটা চিড়ান, শ্বশুর ইয়ারসন রংডি ও আরেক সহযোগী লুইস লেংমিঞ্জাকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে বিজিবি। তবে ফিলিকে এখনও পাওয়া যায়নি। গোয়েন্দা সূত্র বলছে, গুলির পর দেশ থেকে পালাতে ফিলিপের সঙ্গে যোগাযোগ করেন ফয়সাল।

বিজিবির ময়মনসিংহের সেক্টর কমান্ডার কর্নেল সরকার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান সমকালকে বলেন, শুক্রবার ঢাকায় হাদির ওপর গুলির পর অভিযুক্ত ব্যক্তিদের পালানো ঠেকাতে বিজিবি সদরদপ্তরের নির্দেশনায় রাত সাড়ে ৮টা থেকে ৯টার মধ্যে ৩৯ বিজিবির অধীন সীমান্তের সম্ভাব্য রুটগুলো চিহ্নিত করে টহল ও চেকপোস্ট বসানো হয়। পরদিন শনিবার পুলিশ ও বিজিবির যৌথ অভিযানের মাধ্যমে সন্দেহভাজন হিসেবে নালিতাবাড়ী উপজেলায় শ্বশুরবাড়িতে অবস্থানরত ফিলিপ নামে এক ব্যক্তিকে আটকের পরিকল্পনা করা হয়। হামলায় অভিযুক্ত ব্যক্তিরা এ অঞ্চল দিয়ে ভারতে পালালে ফিলিপ ভালো বলতে পারবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে, তবে তাঁকে পাওয়া যায়নি।

মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ফিলিপের গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট সীমান্তে। তবে তিনি শেরপুরের নালিতাবাড়ীর বারোমারি এলাকায় শ্বশুরবাড়ি থাকেন। তবে হালুয়াঘাট এলাকায় মানব পাচারে জড়িত তিনি। এ ছাড়া বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে সংশ্লিষ্ট। হালুয়াঘাট এলাকায় ফয়সালকে রিসিভ করেছেন ফিলিপ– পুলিশের কাছে এমন গোয়েন্দা তথ্য রয়েছে। তাঁকে গ্রেপ্তার করা গেলে অনেক কিছু পরিষ্কার হতো। আমরা সেই চেষ্টা করছি।

মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, বিজিবি ও পুলিশ ফিলিপের শ্বশুরবাড়িতে অভিযান চালিয়েছে। বিষয়টি টের পেয়ে ফিলিপকে ফোনে এ তথ্য জানিয়ে দেন তাঁর স্ত্রী। তখনও শেরপুরে অন্য এক আত্মীয়ের বাসায় পালিয়ে ছিলেন তিনি।

আদালতে যা বললেন ফয়সালের স্ত্রী-শ্যালক-বান্ধবী
হাদির ওপর হামলার বিষয়ে কিছুই জানেন না বলে দাবি করেছেন মূল সন্দেহভাজন ফয়সাল করিম মাসুদের স্ত্রী, শ্যালক ও ‘বান্ধবী’। গতকাল সন্ধ্যায় ঢাকার অ্যাডিশনাল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জশিতা ইসলামের আদালতে তারা হত্যাচেষ্টায় নিজেদের সম্পৃক্ততা অস্বীকার করেন।

রোববার রাত আড়াইটার দিকে নরসিংদীর সদর থানা এলাকা থেকে ফয়সালের স্ত্রী সাহেদা পারভীন সামিয়া ও শ্যালক ওয়াহিদ আহমেদ শিপুকে গ্রেপ্তার করা হয়। ‘বান্ধবী’ মারিয়া আক্তার লিমাকে গ্রেপ্তার করা হয় সোমবার ভোরে ঢাকার বাড্ডা এলাকা থেকে। গতকাল তাদের প্রত্যেকের সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের মতিঝিল জোনাল টিমের পরিদর্শক ফয়সাল আহমেদ। সেখানে রাষ্ট্রপক্ষে রিমান্ডের পক্ষে যুক্তি তুলে ধরেন ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর ওমর ফারুক ফারুকী।

তিনি বলেন, হাদি জুলাই আন্দোলনের বীর সৈনিক। ঢাকার একটি আসনে প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। ছাত্রলীগের কাছে থেকে দীর্ঘদিন পরিকল্পনার পর ফয়সাল করিম মাসুদ এ ঘটনা ঘটিয়েছেন। সরকার তাঁকে ধরতে ৫০ লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেছে।

রাষ্ট্রপক্ষের এ আইনজীবী বলেন, এই তিনজন তদন্তে পাওয়া আসামি। তারা একই সঙ্গে, একই ঘরে ছিলেন। এরপর বের হয়ে যান। তাদের সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুরের প্রার্থনা করছি। এর পর বিচারক জানতে চান, আসামিপক্ষের কোনো আইনজীবী আছেন কিনা? আসামিপক্ষে কোনো আইনজীবী ছিলেন না। এর পর বিচারক জানতে চান, তাদের কিছু বলার আছে কিনা? তখন ফয়সালের স্ত্রী সাহেদা পারভীন বলেন, ঘটনার বিষয়ে কিছু জানি না। ঘটনার দুই থেকে তিন দিন আগে আমার সঙ্গে ফয়সালের দেখা হয়, আর দেখা হয়নি। ঘটনার দিন কথা হয়। এর পর থেকে আমাদের সঙ্গে কথা বলেনি। আমাদের সঙ্গে সে থাকে না। অনেক রাতে যেত, আবার ভোরে চলে আসত। এ কথা বারবার বলে আসছি। ফয়সালের শ্যালক শিপু বলেন, আমি ঘটনার বিষয়ে কিছু জানি না।

ফয়সালের বান্ধবী মারিয়া আক্তারের পরিচয় জানতে চান আদালত। তখন মারিয়া বলেন, সে আমার বন্ধু। ফেসবুকে পরিচয়। এসব বিষয়ে কোনো কথা হয়নি। আর্থিক সমস্যার কারণে কিছু টাকা দেবে বলে জানায়।

এর পর স্ত্রী সাহেদা পারভীন আদালতকে বলেন, আমার দুই বছরের একটা বাচ্চা আছে। এর বাইরে যা যা তথ্য দেওয়ার দিয়েছি। আর আমাদের হয়ে কেউ কথা বলবে, বাবার বাড়িতে এমন কেউ নেই। পরে আদালত থেকে তাদের পাঁচ দিনের রিমান্ডের আদেশ আসে।

চিকিৎসা ব্যয় বহন করবে সরকার
গতকাল দুপুর সোয়া ১টার দিকে ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতাল থেকে আইসিইউ অ্যাম্বুলেন্সে হাদিকে বিমানবন্দরে নেওয়া হয়। সিঙ্গাপুর থেকে আসা এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ঢাকায় পৌঁছায়। হাদির সঙ্গে সিঙ্গাপুর গেছেন তাঁর ভাই ওমর বিন হাদি ও রাজনৈতিক সহযোদ্ধা আমিনুল হাসান ফয়সাল।

এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি সিঙ্গাপুরের উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়ার পর বিমানবন্দরে ব্রিফ করেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী সায়েদুর রহমান। তিনি বলেন, ‘হাদির গুলিবিদ্ধ মস্তিষ্কের অবস্থা ছাড়া শরীরের অন্যান্য অঙ্গ কিডনি, হৃদযন্ত্র ও শ্বাসপ্রশ্বাস এখন পর্যন্ত নিয়ন্ত্রণযোগ্য পর্যায়ে রয়েছে। বিভিন্ন ওষুধ ও অক্সিজেনের মাধ্যমে এগুলো মোটামুটি নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব হচ্ছে।’

এর আগে এভারকেয়ার হাসপাতালের সামনে সংবাদ সম্মেলন করেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিউরোসার্জারি বিভাগের আবাসিক চিকিৎসক ও ন্যাশনাল হেলথ অ্যালায়েন্সের সদস্য সচিব আব্দুল আহাদ। তিনি বলেন, চিকিৎসার মানের দিক থেকে বাংলাদেশ ও সিঙ্গাপুরের মধ্যে বড় ধরনের পার্থক্য নেই। তবে সংক্রমণের ঝুঁকি শূন্যে নামানো সম্ভব না হওয়ায় হাদিকে সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। তাঁর শারীরিক অবস্থা আগের মতোই। উন্নতি না হলেও অবনতি হয়নি। ফুসফুসের সমস্যা আগের মতোই রয়েছে। নতুন করে কোনো সিটি স্ক্যান করা হয়নি। তবে মেডিকেল বোর্ড সম্মিলিতভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছে– তাঁর বর্তমান অবস্থা অনুযায়ী বিদেশে নিতে কোনো বাধা নেই। তিনি আরও বলেন, হাদির মস্তিষ্কের অবস্থা এখনও উদ্বেগজনক। মস্তিষ্কে অক্সিজেনের ঘাটতি রয়েছে। ফলে পুরোপুরি সেরে ওঠা কঠিন। তবে জুলাই বিপ্লবের সময় এ ধরনের সংকটাপন্ন অনেক রোগী সুস্থ হয়ে ফিরে এসেছেন।

চিকিৎসার জন্য টাকাপয়সা কোনো ব্যাপার না: অর্থ উপদেষ্টা
গতকাল সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে সরকারি ক্রয়-সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি ও অর্থনৈতিক বিষয়ক উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, ‘ওসমান হাদিকে দেশের বাইরে পাঠানোর জন্য যখন মেসেজ এলো, আমরা বলেছি, টাকাপয়সা কোনো ব্যাপার না। উই উইল গিভ অ্যালোকেশন (আমরা বরাদ্দ দেব)।’ চিকিৎসার জন্য কত টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে– এ প্রশ্নের জবাবে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ‘যখন বলা হয়েছে বাইরে পাঠানো হবে; বলেছি– টাকা যা-ই লাগুক, আমরা প্রস্তুত।’

সূত্র : সমকাল