
কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা ও সুযোগ-সুবিধা নিয়ে কোনো আলোচনা না হওয়ায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ বিচার বিভাগীয় কর্মচারী অ্যাসোসিয়েশন।
রোববার (৬ অক্টোবর, ২০২৫) সংগঠনের সভাপতি রেজোয়ান খন্দকার ও সাধারণ সম্পাদক কাজী মো. সালাউদ্দিন স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই বঞ্চনার কথা তুলে ধরা হয়।
মূল দাবি ও বঞ্চনার কারণ
অ্যাসোসিয়েশনের প্রধান দাবি হলো:
* সহায়ক কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জুডিসিয়াল সার্ভিস বেতন স্কেলের আলোকে বেতন-ভাতা দেওয়া।
* বিদ্যমান জুডিসিয়াল সার্ভিস বেতন স্কেলের ১ম থেকে ৬ষ্ঠ গ্রেডের পরবর্তী ৭ম থেকে ১২তম গ্রেডভুক্ত করা।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২৯ সেপ্টেম্বরের কমিশনের প্রথম সভায় শুধুমাত্র জুডিসিয়াল সার্ভিসের সদস্যদের (বিচারক) বেতন-ভাতা নিয়ে প্রাথমিক আলোচনা হলেও প্রায় ২০ হাজার সহায়ক কর্মকর্তা-কর্মচারীর ন্যায্য দাবি স্থান পায়নি। এই কর্মচারীরাই দিন-রাত কাজ করে বিচার বিভাগকে সচল রাখেন।
নেতৃত্বের বক্তব্য
* সভাপতি মো. রেজোয়ান খন্দকার বলেন, স্বাধীন বিচার বিভাগ প্রতিষ্ঠার যে রোডম্যাপ ঘোষণা করা হয়েছে, তাতে কর্মচারীদের ন্যায্য দাবির প্রতিফলন নেই। তিনি জোর দেন, বিচার বিভাগের মর্যাদা রক্ষায় সবার আগে বৈষম্যহীন বেতন কাঠামো নিশ্চিত করতে হবে।
* সাধারণ সম্পাদক কাজী মো. সালাউদ্দিন ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, সরকার আইন ও বিচার বিভাগে সংস্কার কার্যক্রম চালালেও সহায়ক কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দাবির বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।
কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি
তিনি হুঁশিয়ারি দেন যে, আগামী ৯ অক্টোবরের সভায় যদি কর্মচারীদের দাবি বাস্তবায়নে দৃশ্যমান কোনো অগ্রগতি না হয় এবং ২০২৫ সালের জুডিসিয়াল সার্ভিস পে-কমিশনের প্রতিবেদনেও যদি তারা পুনরায় বঞ্চিত হন, তবে অ্যাসোসিয়েশন লাগাতার শাটডাউনসহ কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করতে প্রস্তুত থাকবে।
সংক্ষেপে, এই কর্মচারীরা মনে করেন, বিচারকদের জন্য বেতন কাঠামো নিয়ে আলোচনা হলেও বিচার বিভাগের কার্যক্রম পরিচালনায় অপরিহার্য ২০ হাজার কর্মচারীকে আলোচনায় বাইরে রাখা চরম বৈষম্য।
সূত্র: জনকণ্ঠ