
বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়ে এমপি হওয়ার সুযোগ আর থাকছে না। ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ফেরানো হচ্ছে ‘না’ ভোট। এক্ষেত্রে ‘না’ ভোটের সঙ্গেই লড়ে সংশ্লিষ্ট প্রার্থীতে জিততে হবে। গণনায় ‘না’ ভোট বেশি হলে প্রার্থীকে পরাজিত বলে ঘোষণা করা হবে।
সোমবার (১১ আগস্ট) গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) নিয়ে সংস্কার প্রস্তাব চূড়ান্ত করার বৈঠকে এসব সিদ্ধান্ত হওয়ার কথা বলেছেন নির্বাচন কমিশনার আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ। এছাড়া ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইভিএম থাকছে না বলেও জানান তিনি।
একই সঙ্গে জোটগতভাবে নির্বাচন করলেও প্রার্থীকে নিজ দলের প্রতীকে ভোট করতে হবে। অপরদিকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সংজ্ঞায় সশস্ত্রবাহিনীকে যুক্ত করা হয়েছে এবং ইভিএম ব্যবহার সংক্রান্ত বিধান বাদ দেওয়া হয়েছে।
এদিন সকালে নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার এএমএম নাসির উদ্দিনের সভাপতিত্বে নবম কমিশন সভার মুলতবি বৈঠক হয়। পরে সন্ধ্যায় ইসির সিদ্ধান্ত তুলে ধরতে সাংবাদিকদের সামনে আসেন কমিশনার আবুল ফজল। আরপিও একগুচ্ছ এসব সংস্কার প্রস্তাব চূড়ান্ত হলে আগামী সপ্তাহে সরকারের অনুমোদনের জন্য মন্ত্রণালয়ে পাঠানোর কথা বলেন তিনি।
কমিশনার আবুল ফজল বলেন, ‘আরপিওতে ‘না’ ভোটের বিধান যুক্ত করা হয়েছে। যদি কোথাও একজন প্রার্থী হয় সেক্ষেত্রে বিনা ভোটে নির্বাচিত হবে না। তবে সার্বিকভাবে ‘না’ ভোট নয়। যদি কোনো আসনে একজন প্রার্থী হলে তাকেও নির্বাচনে যেতে হবে, তাকে না প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে। সেখানে পুনরায় ‘না’ ভোট বিজিত হলে তাহলে আর ভোট হবে না। তখন ব্যক্তি, প্রার্থী নির্বাচিত হবে।’
২০০৮ সালের নির্বাচনে ‘না’ ভোটের বিধান ছিল সব আসনে। পরে নবম সংসদে তা বাদ দেওয়া হয়। এবার ‘না’ ভোটের বিধান চালুর প্রস্তাব ছিল সংস্কার কমিশনেরও। তবে ইসি সব আসনে ‘না’ ভোটের বিধান চালু না করলেও বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতা রোধে শুধু একক প্রার্থী থাকলে তাকে ‘না’ ভোটের সঙ্গে লড়তে হবে। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতা রোধে এ ব্যবস্থা করেছে ইসি।
ইসির বৈঠকে নেওয়া সিদ্ধান্তের কথা তুলে ধরে আবুল ফজল জানান, কমিশন অন্যান্য বাহিনীর মত সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর সদস্যদের আইনশৃঙ্খলায় নামাতে পারবে। বর্তমান ইসি দায়িত্ব নেওয়ার পর ইভিএম ব্যবহার করবে না বলে জানিয়ে দিয়েছিল। এখন আরপিও থেকে তা বাদ দেওয়া হয়েছে।