প্রচ্ছদ আর্ন্তজাতিক এমভি আবদুল্লাহ পাহারায় দুই যুদ্ধজাহাজ

এমভি আবদুল্লাহ পাহারায় দুই যুদ্ধজাহাজ

৩১ দিন পর শনিবার রাতে সোমালিয়ার জলদস্যুদের কবল থেকে মুক্ত হয় বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ। এরপর জাহাজটিকে নিরাপত্তা দিয়ে নিরাপদ জলসীমায় নিয়ে যায় ইউরোপীয় ইউনিয়নের নৌবাহিনীর দুটি যুদ্ধজাহাজ। সোমবার দুপুরে নিজেদের ওয়েবসাইটে এমভি আবদুল্লাহকে পাহারা দিয়ে নিয়ে যাওয়ার ছবি প্রকাশ করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন।

ছবিতে দেখা যায়, সাগরের বুকে এগিয়ে চলছে এমভি আবদুল্লাহ। দুই পাশে ইউরোপীয় ইউনিয়নের নৌবাহিনীর দুটি যুদ্ধজাহাজ। ছবিতে তিনটি দ্রুতগতির নৌযানকেও টহল দিতে দেখা যায়।

এমভি আবদুল্লাহ জাহাজটির মালিকপক্ষ কেএসআরএম গ্রুপের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহরিয়ার জাহান রাহাত বলেন, মুক্ত হওয়ার পর জাহাজটিকে নিরাপদ জলসীমা পর্যন্ত পাহারা দিয়ে নিয়ে যায় ইউরোপীয় ইউনিয়নের নৌবাহিনীর দুটি যুদ্ধজাহাজ। ইউরোপীয় ইউনিয়নের নৌবাহিনীর সদস্যরা এমভি আবদুল্লাহ জাহাজের নাবিকদের সঙ্গেও কথা বলেছেন। খোঁজখবর নিয়েছেন।

ইউরোপীয় ইউনিয়নের নৌবাহিনীর অপারেশন আটলান্টার আওতায় সোমালিয়া উপকূল, এডেন, আকাবা, সুয়েজ, লোহিত সাগর ও আশপাশের এলাকায় কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। মূলত বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির জাহাজ নিরাপত্তা দেওয়া এবং জলদস্যুতাবিরোধী কার্যক্রম তদারকিই তাদের মূল উদ্দেশ্য।

গত ১২ মার্চ ভারত মহাসাগর থেকে ২৩ নাবিকসহ বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ জিম্মি করে সোমালিয়ার জলদস্যুরা। ৩১ দিন পর মুক্তিপণের অর্থ পেয়ে শনিবার রাতে জাহাজটি ত্যাগ করে তারা। এরপর মধ্যরাতে ২৩ নাবিক নিয়ে জাহাজটি আরব আমিরাতের আল হারমিয়া বন্দরের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করে। ২১ এপ্রিল জাহাজটি সেখানে পৌঁছানোর কথা রয়েছে বলে জানিয়েছে কেএসআরএম গ্রুপ।

২০১০ সালে ছিনতাইয়ের শিকার হয় একই গ্রুপের মালিকানাধীন জাহাজ এমভি জাহান মণি। তিন মাস পর মুক্তিপণ দিয়ে জাহাজটি ফিরিয়ে আনে তারা।