দেশজুড়ে : চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলার মেখল ইউনিয়নে বাড়ি থেকে স্থানীয় হেফাজত নেতা হাফেজ আবদুল মাবুদকে তুলে নেওয়ার ৬০ ঘণ্টা পর খোঁজ মিলেছে। সন্ধান পাওয়া গেছে হেফাজতের আরেক নেতা সাতকানিয়ার মাওলানা লোকমান নদভীরও।
মঙ্গলবার তাদের খোঁজ পাওয়ার কথা জানান হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মীর ইদ্রিস। তিনি প্রাথমিকভাবে চট্টগ্রাম নগরীর মনসুরাবাদ ডিবি পুলিশের কার্যালয়ে এ দু’জন আছেন বলে জানালেও পরে অ্যান্টি টেররিজম ইউনিট (এটিইউ) তাদের গ্রেপ্তারের কথা নিশ্চিত করে।
এক বিজ্ঞপ্তিতে এটিইউ জানায়, অনলাইনে জঙ্গিবাদের প্রচার চালানোর অভিযোগে চট্টগ্রামের দুই স্থান থেকে আবদুল মাবুদ ও মোহাম্মদ লুকমানকে (লোকমান নদভী) গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের (এবিটি) সদস্য।
এটিইউর পুলিশ সুপার (মিডিয়া অ্যান্ড অ্যাওয়ারনেস) মাহফুজুল আলম রাসেল জানান, শনিবার তাদের একটি দল হাটহাজারী থানার পূর্ব মেখল এলাকা থেকে এবিটির সক্রিয় সদস্য আবদুল মাবুদকে গ্রেপ্তার করে। তাঁর দেওয়া তথ্যে সোমবার মহানগরের পাঁচলাইশ থানার হিলভিউ আবাসিক এলাকা থেকে অপর সক্রিয় সদস্য মোহাম্মদ লুকমানকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের কাছ থেকে উগ্রবাদী বই, চারটি মোবাইল ফোন ও সিমকার্ড জব্দ করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, গ্রেপ্তাররা দীর্ঘদিন এবিটির পক্ষে প্রচার ও অপরাধমূলক কাজে একে অপরকে সহায়তা করে আসছিল। তারা অনলাইনসহ নানা মাধ্যমে জঙ্গিবাদের প্রচারসহ তথাকথিত খিলাফত রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্যে বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করছিল। এজন্য তারা আফগানিস্তান, পাকিস্তানসহ পার্শ্ববর্তী দেশের একই মতাদর্শের কিছু লোকের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখতেন। তাদের বিরুদ্ধে হাটহাজারী থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা হয়েছে।
শনিবার রাত ১২টায় নিখোঁজ হন আব্দুল মাবুদ। তিনি মেখল ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের পজারী তালুকদার বাড়ির মৃত আব্দুস সালামের ছেলে এবং হেফাজতে ইসলামের হাটহাজারী শাখার যুগ্ম মহাসচিব। লোকমান নদভী সাতকানিয়ার বাসিন্দা। তাদের গোয়েন্দা সংস্থার সদস্য পরিচয় দিয়ে সাদা পোশাকে তুলে নেওয়া হয় বলে অভিযোগ রয়েছে।
প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও জনপ্রিয় সাইট থেকে হুবহু কপি করা। তাই দায়ভার মুল পাবলিশারের। এরপরও কোন অভিযোগ বা ভিন্নমত থাকলে আমাদেরকে জানান আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব সমাধান করে নিতে। |