প্রচ্ছদ বিনোদন ৫ ঘণ্টা দাঁড় করিয়ে রেখে মঞ্চে উঠতে দেওয়া হলো না তাসরিফকে

৫ ঘণ্টা দাঁড় করিয়ে রেখে মঞ্চে উঠতে দেওয়া হলো না তাসরিফকে

বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের শুরু থেকেই সরব ছিলেন গায়ক তাসরিফ খান। গান গেয়ে অনুপ্রেরণা জুগিয়েছিলেন ছাত্রদের। এজন্য খেসারতও দিতে হয়েছে। শেখ হাসিনা সরকারের আশীর্বাদপুষ্টদের দ্বারা নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছে গায়ককে।

এবার তাসরিফকে অন্যরকম এক অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হতে হলো। কনসার্ট আয়োজন করে মঞ্চে উঠতে দেয়া হলো না তার ব্যান্ডকে। সামাজিক মাধ্যমে দীর্ঘ এক পোস্টের মাধ্যমে বিষয়টি জানিয়েছেন গায়ক।

নিজের ফেসবুকে গায়ক লিখেছেন, ‘রাত ৩টা বেজে ৪ মিনিট, জাহাঙ্গীনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে থেকে আমার সমস্ত শ্রোতাদের কাছে ক্ষমা চেয়ে লেখা শুরু করছি। মাঝে মাঝে কথা বলা উচিত, কথা বলতে হয়।’

এরপর লেখেন, ‘কুড়েঘর ব্যান্ডের ৮ বছরের যাত্রায় আজকের রাতের মতো বাজে অভিজ্ঞতার শিকার আমরা এর আগে হইনি। মূলত এই কনসার্টের আয়োজক ছিলেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘মানিকগঞ্জ জেলা ছাত্র কল্যাণ সমিতি’। প্রথমে আমাদের স্টেজ টাইম জানানো হয় ১০ তারিখ রাত ৮ টায়। শোয়ের আগের দিন আয়োজকরা আমাদের বলেন আমরা স্টেজে উঠব রাত ১১ টায়। ওনাদের জানানো সময় অনুয়ায়ী আমরা রাত ১০ টায় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে এসে পৌঁছাই।’

তাসরিফ লেখেন, ‘এসেই শুনি ওনাদের প্রোগ্রামে মিস ম্যানেজমেন্ট হচ্ছে, আমাদেরকে আরও পরে ওঠানো হবে। সময় গড়াতে গড়াতে রাত ৩ টা পর্যন্ত অপেক্ষা করে আমরা জানতে পারি তাদের মিস ম্যানেজমেন্টের জন্য আমাদের পারফর্ম করা হচ্ছে না। এখানে কয়েকটা ব্যাপার ঘটল।’

হতাশ তাসরিফ লিখেছেন, ‘আপনারা যে শুধু একটা ব্যান্ডকে ৫ ঘণ্টা অপেক্ষা করিয়ে পারফর্ম করতে দেননি ব্যাপারটা তা নয়, আপনারা সবচেয়ে বেশি কষ্ট দিয়েছেন আমাদের শ্রোতাদের। তাদের অনেকেই এই পোস্ট না দেখলে হয়তো এটাও জানত না যে কুড়েঘর এসেছিল এবং তাদের মতোই অপেক্ষা করে ছিল তাদের গান শোনাতে!’

আরও লেখেন,‘বাংলাদেশের ব্যান্ড সিনারিওতে এই গল্প নতুন নয়। বাস্তবতা হচ্ছে সকল ব্যান্ড প্রায় সব কনসার্টেই সময় মতো পৌঁছে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করে পরে পারফর্ম করে এবং কেউ এটা নিয়ে কখনও কমপ্লেইন করে না। আমরা যারা ব্যান্ড করে পারফর্ম করে বেড়াই, কেবল আমরাই জানি একটা কনসার্টের গুরুত্ব আমাদের কাছে কতটুকু রয়েছে কিংবা প্রতি শোয়ের পেছনে আমাদের কত গল্প কত আবেগ জড়িয়ে থাকে।’

এরপর শ্রোতাদের কাছে ক্ষমা চেয়ে তিনি লেখেন, ‘আজকে যারা আমাদের শ্রোতা হয়ে অপেক্ষা করেছেন, আপনারা আমাদের ক্ষমা করবেন। জাহাঙ্গীনগর বিশ্ববিদ্যালয় আমাদের পরম ভালোবাসার একটি প্রতিষ্ঠান। নিশ্চই আবার দেখা হয়ে যাবে আপনাদের সাথে। আপনাদের অবগতির জন্য সম্মানের সাথে জানাতে চাই, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের, ‘মানিকগঞ্জ জেলা ছাত্র কল্যাণ সমিতি’ এর আয়োজিত কোন কনসার্ট এ কুড়েঘর ব্যান্ড আর কখনো অংশগ্রহণ করবে না।’

প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও জনপ্রিয় সাইট থেকে হুবহু কপি করা। তাই দায়ভার মুল পাবলিশারের। এরপরও কোন অভিযোগ বা ভিন্নমত থাকলে আমাদেরকে জানান আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব সমাধান করে নিতে।