জাতীয়: গত ৫ আগষ্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হয়ে পালিয়ে ভারতে আশ্রয় নেয় আওয়ামী লীগ সরকার। এর আগে দেশবাসী ও সেনাবাহিনীর উদ্দেশ্যে একটি ভিডিও বার্তা দিয়েছিলেন বর্তমানে অন্তর্বর্তী সরকারের যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক আসিফ মাহমুদ।
ভিডিওতে আসিফ মাহমুদ বলেছিলেন, আগামীকাল ৫ আগষ্ট সারা দেশের মুক্তিকামী জনতাকে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হওয়ার জন্য আমরা আহ্বান জানাচ্ছি। যারা পারবেন বা যাদের পক্ষে সম্ভব হবে রাতেই আপনারা ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হয়ে যান। বিশেষ করে ঢাকার আশেপাশে যে জেলাগুলো আছে আপনারা দায়িত্ব নিয়ে মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে যাদেরকে পাবেন সবাইকে নিয়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হোন।
তিনি বলেন, এই লড়াই আমাদের জন্য একটি চূড়ান্ত লড়াই। আমরা চূড়ান্ত ঘোষণার জন্য প্রস্তুত। গণভবনের দিকে যাত্রার জন্য প্রস্তুত। সেই উদ্দেশ্যেই আপনারা সকলে ঢাকা আসুন। আমরা আপনাদের সবাইকে নিয়ে আমাদের চূড়ান্ত ঘোষণা দিয়ে দাবি আদায়ে এগিয়ে যাবো।
সমন্বয়কদের নিয়ে আসিফ মাহমুদ বলেন, আমি জানিনা সমন্বয়করা আজকে রাতে বেঁচে থাকতে পারবে কিনা। কিন্তু আপনাদের উপর আমরা এ দায়িত্ব দিচ্ছি। আপনারা সবাই নিজ দায়িত্বে ঢাকায় আসবেন। আগামীকাল এবং পরশু পরিস্থিতি বিবেচনা করে গণভবনের দিকে চারদিক থেকে রওনা হবো।
সেনাবাহিনীদের নিয়ে তিনি বলেন, আমরা খুব আতংকের সাথে লক্ষ করছি ছাত্রলীগ, আওয়ামী লীগ এবং যুবলীগের গুন্ডারা পুলিশের অস্ত্র দিয়ে পর্যন্ত সাধারণ জনগণের উপর হামলা করছে। কিন্তু সুখের খবর হচ্ছে সেনাবাহিনী ছাত্র-জনতার পক্ষ নিয়েছে। কিছু কিছু জায়গায় তারা বিপক্ষে গিয়েছে। আমি সেনাবাহিনীর প্রতি আহ্বান জানাতে চাই আপনারা এদেশের নাগরিক। আপনার এদেশের নিরাপত্তার দায়িত্বে আছেন, দেশের জনগণের জান-মালের নিরাপত্তার দায়িত্বে আছেন। আপনারা দেশের পক্ষে এবং দেশের জনগণের জন্য কাজ করবেন। কোন খুনি সরকারের জন্য, কোন খুনি রাজনৈতিক দলের জন্য কাজ করবেন না। এটিই এদেশর জনগণ আপনাদের থেকে প্রত্যাশা করে। আমাদের এই আন্দোলনে পুরোপুরি সমর্থন দিয়ে হয় নিরপেক্ষ থাকুন অথবা সরকারের খুনি বাহিনীকে প্রতিহত করুন। তাদেরকে যথাযথ শাস্তির আওতায় নিয়ে আসুন।
তিনি আরও বলেন, সরকারের পক্ষ যে কারফিউ ঘোষণা করা হয়েছে এ ধরণের কোন কারফিউ বাস্তবায়নের জন্য সেনাবাহিনী যেন মাঠে না নামে। যদি মাঠে নামে তাহলে সেনাবাহিনী স্পষ্টভাবে জনগণের বিপক্ষে দাঁড়াবে। আমরা চাই না সরকারের এই ষড়যন্ত্রে সেনাবাহিনী পা দিক। সেনাবাহিনীকে জনতার বিপক্ষে দাঁড় করানোর যে ষড়যন্ত্র সরকার করেছে তাতে তারা পা দেবে না বলে আমরা বিশ্বাস করি।
আওয়ামী লীগ আজ সারাদেশে তাদের খুনি বাহিনীকে নামিয়ে দিয়েও ছাত্র-জনতার প্রতিরোধে টিকতে পারেনি। রাজপথের পরাজিত শক্তি হিসেবে তারা সেনাবাহিনী সহ অন্যান্য বাহিনীকে আমাদের বিরুদ্ধে লাগানোর চেষ্টা করছে। এই চেষ্টাকে এই ষড়যন্ত্রকে ব্যর্থ করতে হবে এবং আগামীকাল সারা দেশের মসজিদে মসজিদে ঘোষণা দিয়ে আপনারা রওনা হোন। এই ইতিহাসের স্বাক্ষী হতে প্রত্যেকটি পরিবার থেকে একজন করে ঢাকায় আসুন।
সূত্র : জনকণ্ঠ
প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও জনপ্রিয় সাইট থেকে হুবহু কপি করা। তাই দায়ভার মুল পাবলিশারের। এরপরও কোন অভিযোগ বা ভিন্নমত থাকলে আমাদেরকে জানান আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব সমাধান করে নিতে। |