
আসন্ন সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে অন্তত ৭০ শতাংশ আসনে একক প্রার্থী চূড়ান্ত করেছে বিএনপি। বেশ কিছু আসনে সম্ভাব্য প্রার্থীদের গণসংযোগ শুরু করার নির্দেশ দিয়েছেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, বিএনপি দেশব্যাপী ১০টি সাংগঠনিক বিভাগে ভাগ করে প্রার্থী বাছাইয়ের কাজ এগিয়ে নিচ্ছে। দলের জ্যেষ্ঠ নেতাদের সঙ্গে আলোচনা ও মাঠপর্যায়ের প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে প্রার্থী তালিকা তৈরি করা হচ্ছে। তফসিল ঘোষণার পরই বিএনপি তাদের চূড়ান্ত প্রার্থীর নাম ঘোষণা করবে।
দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে জ্যেষ্ঠ পাঁচ নেতার সমন্বয়ে একটি নির্বাচন সেল গঠন করা হয়েছে, যারা প্রার্থী যাচাই-বাছাইয়ের কাজ তদারক করছেন। দলীয় নেতারা জানিয়েছেন, প্রায় ২৫০টি আসনে একক প্রার্থীকে সবুজ সংকেত দেওয়া হয়েছে।
বিএনপি নেতারা জানান, প্রতিটি আসনে একজন প্রার্থীই চূড়ান্ত মনোনয়ন পাবেন। জটিল ও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ কিছু আসনে একাধিক নাম রাখা হলেও শেষ মুহূর্তে সিদ্ধান্ত নেবেন শীর্ষ নেতৃত্ব। তারা বলছেন, “একাধিক যোগ্য প্রার্থীর মধ্যে আলোচনা করে ঐক্যমতের ভিত্তিতেই একক প্রার্থী নির্ধারণ করা হচ্ছে, যেন সবাই দলীয় সিদ্ধান্ত মেনে একসঙ্গে কাজ করে।”
দলের জ্যেষ্ঠ নেতাদের ভাষ্যমতে, ১০০টি আসনকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে বিবেচনা করে সেখানে একক প্রার্থী নিশ্চিত করতে সরাসরি আলোচনা করছেন কেন্দ্রীয় নেতারা। এই প্রক্রিয়ায় মাঠপর্যায়ের নেতাদের সঙ্গেও মতবিনিময় চলছে।
বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আব্দিন ফারুক বলেন, “বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল একটি বৃহৎ রাজনৈতিক দল। ১৬ বছরের আন্দোলন-সংগ্রামের পর আমরা একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের আশায় কাজ করছি। আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশনায় সিনিয়র নেতারা ইতিমধ্যেই প্রার্থী যাচাইয়ের কাজ করছেন।”
তিনি আরও বলেন, “২০১৮ সালের নির্বাচনের সময়ও দেখা গেছে, প্রার্থী মনোনয়ন ঘোষণার পর সবাই এককভাবে কাজ করেছেন। আমাদের মধ্যে কোনো বিভেদ নেই নমিনেশন ঘোষণার পর সবাই ধানের শীষের পক্ষে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবে।”
ত্যাগী নেতাদের উপেক্ষার অভিযোগ প্রসঙ্গে ফারুক বলেন, “এ অভিযোগ ভিত্তিহীন। দেশনেত্রী খালেদা জিয়া জীবিত আছেন, আর তারেক রহমান দেশের বাইরে থেকেও সংগঠনকে শক্তিশালী করেছেন। তিনি নিজে পর্যবেক্ষণ করে যোগ্য প্রার্থীদের বেছে নিচ্ছেন। কোনো অনৈক্য নেই, সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে নির্বাচনে অংশ নেবে।”
তিনি আরও জানান, সারাদেশকে ১০টি সাংগঠনিক বিভাগে ভাগ করে প্রার্থী বাছাই করা হচ্ছে এবং প্রতিটি অঞ্চলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে তারেক রহমান সরাসরি আলাপ করেছেন। তার এই নির্দেশনাকে ঐতিহাসিক আখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, “ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের ভাষণের পর বিএনপির যে কয়জন প্রার্থীই থাকুক না কেন, অনৈক্য হবে না সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে মাঠে নামবে।”










































