
নোয়াখালী সদর উপজেলায় বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির আয়োজিত কুরআন প্রশিক্ষণ প্রোগ্রামে হামলার ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে ছাত্রশিবির। এ ঘটনায় তারা সরকারকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দায়ী হামলাকারীদের গ্রেপ্তারের আল্টিমেটাম দিয়েছে।
ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদুল ইসলাম তার ব্যক্তিগত ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে এক স্ট্যাটাসে দাবি করেন, স্থানীয় বিএনপি ও যুবদলের ‘সন্ত্রাসীরা’ এই হামলা চালিয়েছে। তিনি বলেন, “নব্য ফ্যাসিস্ট ও কুরআন বিদ্বেষী রাজনীতি নোয়াখালী সদরে আমাদের কুরআন প্রশিক্ষণ প্রোগ্রামে হামলা চালিয়েছে। শিক্ষার্থীদের রক্তাক্ত করা হয়েছে। অসভ্যতারও একটি সীমা থাকা উচিত।”
তিনি আরও বলেন, “৩৬ জুলাই পরবর্তী বাংলাদেশে কোনো ফ্যাসিবাদী কার্যক্রম এই প্রজন্ম সহ্য করবে না। আওয়ামী চরিত্রের চাঁদাবাজ, দখলদার ও সন্ত্রাসীদের রাজনীতি আর চলবে না। আমরা দেশের আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে হামলাকারীদের গ্রেপ্তার করতে হবে, নতুবা সরকারকে দায় নিতে হবে।”
নোয়াখালী জেলা ছাত্রশিবিরের প্রচার সম্পাদক ফজলে রাব্বী জানান, শনিবার কাসেম বাজার জামে মসজিদে আয়োজিত দারসুল কুরআন প্রোগ্রামে কিছু যুবদল নেতার নেতৃত্বে হামলা চালানো হয়। রোববার আসরের নামাজের পর একই মসজিদে পুনরায় কর্মসূচি শুরু করলে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা মসজিদে ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মীর ওপর হামলা চালায়। পরে মসজিদে তালা মেরে তাদের অবরুদ্ধ রাখা হয়। হামলায় অন্তত ২৫ জন নেতাকর্মী আহত হন। এর মধ্যে ১৬ জন গুরুতর আহত, যার মধ্যে নোয়াখালী শহর ছাত্রশিবিরের অফিস সম্পাদক তানভীর সিয়াম, আইন সম্পাদক নাঈম হোসেন, শিবিরের সাথী ছালাউদ্দিন ও কেরামতিয়া মাদ্রাসার ছাত্রশিবিরের সভাপতি আরাফাত আলী রয়েছেন।
সূত্রঃ দৈনিক জনকন্ঠ