
চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলায় দিনের বেলায় প্রকাশ্যে নিজ বাড়ির অদূরে গুলি করে এক যুবদল কর্মীকে খুন করা হয়েছে। শনিবার (২৫ অক্টোবর) বিকেলে রাউজান পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের চারাবটতল এলাকার রশিদারপাড়া সড়কে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
নিহত ব্যক্তির নাম মোহাম্মদ আলমগীর (৫০)। তিনি রশিদারপাড়া এলাকার আব্দুস সাত্তারের ছেলে। চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও রাউজানের সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম আকবর খোন্দকারের অনুসারী হিসেবে পরিচিত নিহত আলমগীর। আওয়ামী লীগের শাসনামলে বিভিন্ন মামলায় প্রায় ১২ বছর তিনি কারাগারে ছিলেন বলে খোন্দকারের পক্ষে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
রাউজান থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মনিরুল ইসলাম ভূঁইয়া বলেন, ‘শনিবার দুপুরে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে নিজ বাড়ির কাছাকাছি এক আত্মীয়ের বাড়িতে গিয়েছিলেন আলমগীর। সেখানে দুপুরের খাবার খেয়ে মোটরসাইকেলে চড়ে একাই ফিরছিলেন। রশিদারপাড়া মসজিদের সামনে দেওয়ালঘেরা একটি কবরস্থানে আগে থেকেই তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে একদল দুর্বৃত্ত লুকিয়ে ছিল। আলমগীর মোটরসাইকেলে করে ওই এলাকা অতিক্রমের সময় তাকে লক্ষ্য করে গুলি করে। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।’
ওসি আরও জানান, ‘হত্যাকাণ্ডের পর দুর্বৃত্তরা আলমগীরের মোটরসাইকেলও নিয়ে গেছে। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে কবরস্থানসংলগ্ন সড়কের পাশে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকা আলমগীরের মরদেহ উদ্ধার করে। পুলিশ মরদেহটি উদ্ধারের পর ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে।’
ওসি মনিরুল বলেন, ‘নিহত ব্যক্তি যুবদল করতেন। তবে কোনো পদ-পদবি ছিল না। যুবদলের কর্মী ছিলেন। হত্যাকারীদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা হবে।’
২০২৪ সালের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর রাউজানে ফেরা বিএনপির নেতা-কর্মীরা দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়েছেন। একভাগে আছেন গোলাম আকবর খোন্দকারের অনুসারীরা এবং আরেকভাগে আছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সহ-সভাপতি গিয়াসউদ্দিন কাদের চৌধুরীরা। দুই নেতাই সংসদ নির্বাচনে রাউজান থেকে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী।
এদিকে আলমগীরকে খুনের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে এক বিবৃতিতে গোলাম আকবর খোন্দকার বলেন, ‘রাউজান পৌরসভা যুবদল নেতা মোহাম্মদ আলমগীর আওয়ামী শাসনামলে দীর্ঘ ১২ বছর কারাভোগের পর সম্প্রতি কারামুক্ত হয়েছিল। আজ সে স্বাধীন, সার্বভৌম দেশের এ সময়ে রাউজানের বিরাজমান অস্থিতিশীল পরিস্থিতিতে সন্ত্রাসীদের গুলিতে নির্মমভাবে খুন হলো। এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত প্রকৃত খুনি ও খুনের নির্দেশদাতা যে বা যারা, তারা যত বড় গডফাদারই হোক না কেন, চিহ্নিত করে গ্রেপ্তারের মাধ্যমে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। রাউজানের আতঙ্কিত জনসাধারণকে নিরাপত্তা দিতে হবে।









































