
খুলনার একটি আবাসিক হোটেল থেকে আওয়ামী লীগ নেতা তৌহিদুর রহমান তুহিনের (৩৫) মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় রহস্যের জন্ম দিয়েছে। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে এক নারীর সন্ধান চালাচ্ছে পুলিশ।
রোববার (১৪ সেপ্টেম্বর) রাতে খুলনা সদর থানা এলাকার স্টার হোটেলের চতুর্থ তলার একটি কক্ষ থেকে তুহিনের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। তিনি খুলনা মহানগরের লবণচরা থানাধীন মতিয়াখালী এলাকার বাসিন্দা এসএমএ খালেকের ছেলে। আওয়ামী লীগের ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের প্রচার সম্পাদক ছিলেন তুহিন।
জানা গেছে, শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) বিকেলে তুহিন নিজেকে বিবাহিত পরিচয় দিয়ে ‘সুমি’ নামের এক নারীকে নিয়ে হোটেলের ৪০১ নম্বর কক্ষে ওঠেন। কিন্তু পরে ওই নারী কখন বের হয়েছেন তা হোটেল কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করতে পারেনি।
রোববার দুপুর থেকে কক্ষের ভেতরে কোনো সাড়া পাওয়া যাচ্ছিল না তুহিনের। সন্ধ্যায় তাকে খুঁজতে গিয়ে দরজায় কড়া নাড়লেও ভেতর থেকে কোনো সাড়া না পেয়ে রাত সোয়া ৮টার দিকে পুলিশের উপস্থিতিতে হোটেল কর্তৃপক্ষ দরজা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে। তখন দেখা যায়, ফ্লোরে পড়ে আছেন তুহিন, মুখ দিয়ে ফেনা বের হচ্ছে।
খুলনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাওলাদার সানোয়ার হোসেন বলেন, হোটেলে যে নারী তুহিনের সঙ্গে উঠেছিলেন, তিনি পলাতক রয়েছেন। তার বিষয়ে অনুসন্ধান চলছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্টের জন্য অপেক্ষা করছি। দরজা ভেতর থেকে আটকানো থাকায় এটি হত্যা নাকি আত্মহত্যা- তদন্ত ছাড়া এখনই নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছে না।










































