বিনোদন : রাজধানীর মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের গভর্নিং বডির সদস্য ছিলেন খন্দকার মুশতাক আহমেদ এবং ওই কলেজের শিক্ষার্থী ছিলো সিনথিয়া ইসলাম তিশা। যারা বর্তমানে বিবাহিত দম্পতি।
ষাটোর্ধ্ব মুশতাকের সঙ্গে অষ্টাদশী তরুণী তিশার বিয়ে নিয়ে কম আলোচনা হয়নি। তাদের এই বিতর্ক গড়িয়েছিল আদালত পর্যন্ত। কারণ কলেজছাত্রী সিনথিয়া সঙ্গে বিয়ে মেনে নিতে পারেনি মেয়েটির পরিবার। তাদের অভিযোগ ছিল মেয়েকে ফাঁদে ফেলে বিয়ে করেছেন মুশতাক আহমেদ। এ নিয়ে একসময় আদালতের কাঠগড়ায়ও দাঁড়াতে হয় তাদের।
তবে সব আলোচনা-সমালোচনাকে পেছনে ফেলে নতুন ভাবে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে চান এই দম্পতি। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে সিনথিয়াকে বিয়ের গল্প জানিয়েছেন মুশতাক।
তিনি জানান, মানুষের সমালোচনাকে বন্ধ করতেই বিয়ের সিদ্ধান্ত নেন তারা। মুশতাকের ভাষায়, ‘সিনথিয়ার সঙ্গে আমার পরিচয়টা ফেসবুকে। এরপর তার সঙ্গে কলেজের অনুষ্ঠানে দেখা হয়। আমাদের প্রায়ই ফোনে কথা হয়। সে আমার প্রতি খুব কেয়ারিং ছিল, যেই বিষয়টা খুব ভালোলাগতো।’
এরপর পাশ থেকে সিনথিয়া বলেন, কলেজে মুশতাকের সঙ্গে আমার সম্পর্ক নিয়ে অনেক সমালোচনা শুরু হয়। অনেকেই মুশতাককে ‘সুগার ড্যাডি’ বলেও সম্বোধন করে। আমি তাকে বিষয়টা জানাই।
সিনথিয়ার কাছ থেকে এমনটা জানার পর মুশতাক তাকে প্রশ্ন করে, তাহলে কী তুমি আমার সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দিবে? কারণ আমি চাই না আমার জন্য তোমাকে মানুষের কাছে কথা শুনতে হোক।
এরপর সিনথিয়া বলেন, মানুষ কী বলছে সে কথা কানে নেবেন না। প্রয়োজনে বিয়ে করে ফেলবেন। মুশতাকের ভাষায়, এরপরই আমরা বিয়ের সিদ্ধান্ত নেই। বলা যায় হুট করে সিদ্ধান্ত থেকেই আমাদের বিয়ে।
সিনথিয়া ইসলাম তিশা জানান, প্রথম দিকে বিষয়টি নিয়ে নানা সমালোচনা হলেও এখন উপভোগ করছি। আমাদের এখন সবাই ভালোভাবে গ্রহণ করছে। সব জায়গায় আগের থেকে বেশ পরিচিতি বেড়েছে বলেও দাবি করেন তিনি।
এদিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও বর্তমানে ব্যাপক ভাইরাল এই দম্পতি। তাদের নিজেদের নামে দুই দিন আগে ‘তৃষা মোস্তাক লাইফ স্টাইল’ পেজ খোলা হয়েছে। যেখানে এই দম্পতির বিভিন্ন ভিডিও প্রকাশ করা হচ্ছে।
প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও জনপ্রিয় সাইট থেকে হুবহু কপি করা। তাই দায়ভার মুল পাবলিশারের। এরপরও কোন অভিযোগ বা ভিন্নমত থাকলে আমাদেরকে জানান আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব সমাধান করে নিতে। |